স্বনামধন্য অভিনেতা উৎপল দত্তকে একবার পুলিশে ধরে, কেন জানেন?
পর্দায় ভিলেন হলেও ব্যক্তি জীবনে উৎপল দত্ত একজন গুণী ও মজার মানুষ। অভিনয় যেন তাঁর নখদর্পণে। শ্যুটিংয়ের বাইরে সেটে কখনও চুপচাপ থাকতেন না তিনি। সময় সুযোগ পেলেই বইয়ে ডুবিয়ে দিতেন নিজেকে। শ্যুটিংয়ে সামান্য ফাঁকা পেলেই তাঁর হাতে বই দেখা যেত, তবে সেটি অবশ্যই অভিনয় কেন্দ্রিক নয়। এমন একজন মানুষকেও কিনা পুলিশের খপ্পরে পড়তে হয়েছে।
কলকাতা: ‘যায় যদি যাক প্রাণ হীরকের রাজা মহান।’ উৎপল দত্তকে(Utpal Dutta) নিশ্চই মনে আছে? মনে তো রাখতেই হবে। ভারতীয় সিনেমায়(Indian Cinema) এমন প্রতিভাবান অভিনেতা বড় একটা আসেননি। পর্দায় ভিলেন হলেও ব্যক্তি জীবনে উৎপল দত্ত একজন গুণী ও মজার মানুষ। অভিনয় যেন তাঁর নখদর্পণে। শ্যুটিংয়ের বাইরে সেটে কখনও চুপচাপ থাকতেন না তিনি। সময় সুযোগ পেলেই বইয়ে ডুবিয়ে দিতেন নিজেকে। শ্যুটিংয়ে সামান্য ফাঁকা পেলেই তাঁর হাতে বই দেখা যেত, তবে সেটি অবশ্যই অভিনয় কেন্দ্রিক নয়। এমন একজন মানুষকেও কিনা পুলিশের খপ্পরে পড়তে হয়েছে।
রাতবিরেতে এমন খবর পেয়েই থানায় ছুটে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়(Eminent Film Director Satyajit Ray), বর্ষাকালের সে রাত ছিল বড় দুর্যোগের। উৎপল দত্তকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে শুনে আর চুপ করে থাকেননি এই স্বনামধন্য পরিচালক। টেলিফোনে খবর পেয়ে মধ্যরাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। জানা যায়, মাণিকবাবুর চেষ্টাতেই সে যাত্রায় পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যান মগনলাল মেঘরাজ।
উৎপল দত্ত তাঁর অভিনয় দিয়েই মানুষের মন জিতে নিয়েছেন। এখনও জয়বাবা ফেলুনাথ(Joi Baba Felunath) দেখতে বসলে মগনলাল মেঘরাজের(Maganlal Meghraj) উপর থেকে চোখ সরানো যায় না। তিনি নিজেই একটা ছির সাফল্যের ধারক হওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। তা ছবিটি মুক্তি পেলেই বোঝা যেত। শুধুমাত্র উৎপল দত্তের অভিনয় দেখতে হলে দর্শকরা ভিড় জমাতেন। সেসময় সত্যজিৎ রায় জনপ্রিয়তার কিছুই পেয়ে ওঠেননি। কিন্তু একের পর এক হিট হিন্দি ছবির দৌলতে উৎপল দত্ত তখন সুপরিচিত নাম। তাই আউটডোরে শ্যুটিং হলে শুধু তাঁকে দেখতেই ভিড় জমে যেত। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এই উৎপল দত্ত, মগনলাল মেঘরাজ যাঁকে একটু অন্যরকম খ্যাতির স্বাদ দিয়েছিল।