Taslima Nasrin: নুসরতের পাশে দাঁড়ালেন তসলিমা নাসরিন, টানলেন উত্তম কুমারের বহু সম্পর্কের প্রসঙ্গ!
নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সমালোচিত অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের পাশে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বরাবর মহিলাদের স্বাধীনতার পক্ষে গলা ফাটানো তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বললেন, পুরুষদের বহুগামিতা যদি দোষের না হয়ে থাকে, তাহলে কোনও মহিলাকে কেন এই কারণে কাঠগড়ায় তোলা হবে।
কলকাতা, ১৫ জুন: নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সমালোচিত অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) পাশে দাঁড়ালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বরাবর মহিলাদের স্বাধীনতার পক্ষে গলা ফাটানো তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বললেন, পুরুষদের বহুগামিতা যদি দোষের না হয়ে থাকে, তাহলে কোনও মহিলাকে কেন এই কারণে কাঠগড়ায় তোলা হবে। তসলিমা এই প্রসঙ্গে, উত্তম কুমারের বহু সম্পর্কের উদাহরণ পর্যন্ত দেন। তসিলাম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কোনও মহিলার ইচ্ছা থাকলেও বহুগামী হওয়া যাবে না। কেন? বিতর্কিত এই লেখিকার কথায়,'' নারীর হরমোন যতই টগবগ করুক, তাদের একগামী হতেই হবে।"আরও পড়ুন: গর্ভ নিরোধকের বিজ্ঞাপন, অশ্লীল কটূক্তির মুখে নুসরত জাহান
ফেসবুকে তসলিমা লেখেন, '' সিনেমা, নাটক, শিল্প, সাহিত্যের জগতে পুরুষদের বহুগামী হওয়ার অনেকর উদাহরণ আছে। কোনও পুরুষ বহুগামী শুনলে সমাজে ছিঃ ছিঃ পড়ে যায় না। তাহলে একজন মহিলাকে নিয়ে এই কারণে কেন এত সমালোচনা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, ''বহুগামিতা একেবারেই মানতে পারি না। মেয়েদের? শুধু মেয়েদের হবে কেন, পুরুষদেরও। শিল্প সাহিত্য নাটক সিনেমার জগতে যে পুরুষ বহুগামী নয়, এমন কয়েকজনের নাম বলো। অথবা যে কজন বহুগামী, তাদেরই নাম বলো। কী বলতে চাইছো? বলতে চাইছি, যে পুরুষেরা বহুগামী, তাদের বিরুদ্ধে তুমি কি সরব? নিশ্চয়ই। তুমি তো উত্তম কুমার বলতে অজ্ঞান। উনি তো গৌরী দেবী এবং সুপ্রিয়া দেবী - দুজনের সঙ্গে থাকতেন। একসময় গৌরী দেবীকে ছেড়ে সুপ্রিয়া দেবীকে বিয়ে না করেই স্বামী স্ত্রীর মতোই থাকা শুরু করলেন। তুমি তো উত্তম কুমারকে গালি দাও না। তুমি তো সমরেশ বসুরও নিন্দে করো না, উনি তো দু'বোনকে বিয়ে করেছিলেন। প্রখ্যাত বহুগামী রবিশংকরকে নিয়েও তো কিছু বলো না! একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে নিয়ে থেকেছেন, একে তো বহুগামিতা বলে না। তাহলে যে মেয়েটির নিন্দে করছো, সেও তো একজনকে ছেড়ে আরেকজনকে নিয়ে থেকেছে। যা করেছে প্রকাশ্যে, লুকিয়ে নয়, কাউকে ঠকিয়ে নয়। তাহলে তার নিন্দে করছো কেন।''
-আমি তা বলতে চাইছি না, বহুগামিতা ব্যাপারটাই খারাপ।
--তাহলে পতিতালয়ে বিবাহিত পুরুষদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার কথা কোথাও মুখ ফুটে বলো না কেন?
--আমি বললে কে শুনবে।
--কিন্তু তুমি যে একটি মেয়ের বহুগামিতার বিরুদ্ধে চিৎকার করছো, ও তো অনেকে শুনছে।
--মেয়েদের এসব সহ্য করা যায় না।
--এই তো আসল কথা পাড়লে। মেয়েদের বহুগামিতা সহ্য করা যায় না, পুরুষদের বহুগামিতা সহ্য করা যায়।
--পুরুষ আর নারীর শরীর তো এক নয়, পার্থক্য আছে। হরমোনের পার্থক্য। পুরুষদের সেক্সটা বেশি দরকার হয়।
--এতক্ষণে অরিন্দম! মনের কথাটি আগে বলে ফেললেই পারতে। বলো যে পুরুষের বহুগামী হওয়ার অধিকার আছে, যেহেতু তাদের হরমোন বেশি সেক্স চায়, এক নারীতে তা মেটে না। কিন্তু নারীর বহুগামী হওয়ার কোনও অধিকার নেই। নারীর হরমোন যতই টগবগ করুক, তাদের একগামী হতেই হবে। বেচারা পুরুষ! পুরুষের বহুগামিতাকে জাস্টিফাই করার জন্য ধর্ম থেকে শুরু করে হরমোনের আশ্রয় পর্যন্ত নিতে হচ্ছে!!
--আমাদের মায়েরা কি কল্পনা করতে পারতো স্বামী ছাড়া অন্য কারও দিকে কোনওদিন তাকাবে?
--তুমি চাইছো দুনিয়ার সব মেয়ে তোমাদের মায়ের মতো হোক।
--তা তো হয়নি, চারদিকে সব চরিত্রহীন বহুগামী মেয়ে।
--চারদিকে কি চরিত্রহীন বহুগামী পুরুষ নেই?
--উফ এসব শুনতে আর ভালো লাগছে না।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)