সোশ্যাল মিডিয়ায় ঊর্মিলাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করায় দায়ের FIR

মুম্বই নর্থ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঊর্মিলা মাতোন্ডকর (Urmila Matondkar)। রাজনীতিবদ হওয়ায় বিরেোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঊর্মিলাকে নানাভাবে আক্রমণ করতে থাকেন।

রাহুল গান্ধীর পাশে ঊর্মিলা। (ফাইল ছবি/ Photo Credits: IANS)

পুণে, ২৮ মে: মুম্বই নর্থ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঊর্মিলা মাতোন্ডকর (Urmila Matondkar)। রাজনীতিবদ হওয়ায় বিরেোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঊর্মিলাকে নানাভাবে আক্রমণ করতে থাকেন। আমাদের দেশে এই রীতিটা একেবারে প্রচলিত। আমাদের এখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমি, নুসরত, মুনমুন, লকেটদের নিয়ে যেমন চলে। মহারাষ্ট্রেও ঊর্মিলাকে নিয়ে নানা ফেসবুক-টুইটার পোস্টে কটাক্ষ করা শুরু হয়। কখনও মিম, কখনও আবার ছবিতে ফটোশপ করে চলে আক্রমণ। চলতি বছর মার্চেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ঊর্মিলা।

ভোটের মরসুমে ঊর্মিলার বিরুদ্ধে চলা ফেসবুকের নানা পোস্টের মাঝে পুণের ৫৭ বছরের এক ব্যক্তি শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে ঊর্মিলাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই পোস্টে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও ছিল। অভিযোগের পর পুণের বিশরাম বাউঘ পুলিস স্টেশনে ঊর্মিলার বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়। ভোটের আগে ঊর্মিলার উইকিপিডিয়া পেজে এডিট করে লেখা হয় তিনি তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করায়, উর্মিলা থেকে নাম বদলে রেখেছেন মারিয়াম আখতার মনির। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুম্বইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই রকম নানারকম রঙ্গিলা গার্ল-কে নিয়ে নানা আপত্তিকর পোস্ট হয়েছিল। ভোটে খুব খারাপভাবেই হারেন ঊর্মিলা।

রামগোপাল ভর্মার হাত ধরে বলিউডে নিজের জমি শক্তি করা ঊর্মিলা পান মাত্র ২,৩৫,৭৬৪টি ভোট। তাঁকে হারান বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেঠি। গোপাল শেঠি ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে ঊর্মিলাকে হারান সাড়ে ৪ লক্ষের বেশি ভোটে। গত লোকসভা ভোটে মুম্বই কংগ্রেস প্রধান সঞ্জয় নিরুপমকে ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ভোটে পরাস্ত করেছিলেন বিজেপির দাপুটে নেতা গোপাল। আর এবারের নির্বাচনে সেই নিরুপম ভোটে লড়তে না চাওয়ায় মনোবল ভেঙে পড়ে কংগ্রেসের। এরপরই বলিউডের ঊর্মিলাকে দাঁড় করায় কংগ্রেস। এদিকে, দলের সদস্যরা না চাইলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল। তাই সরাসরি সোমবার ফের দলের কাছে বার্তা পাঠালেন নতুন সভাপতি খুঁজে নেওয়ার। তিনি আর এই পদে থাকতে চান না। এমনকী তিনি সভাপতি পদে থাকার বিষয়ে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন করছেন না বলেও সূত্রের খবর। আর তাই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।

এখানেই থেমে থাকেননি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) । তিনি নতুন এবং জিতে আসা সাংসদদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। সমস্ত বৈঠক ও সভা বাতিল করে দিয়েছেন। এদিন সকালে তিনি টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের প্রয়াত প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে। সেখানে নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন রাহুল।