Farah Khan: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর প্রত্যেকেরই জমজমাট হাসির ডোজ প্রয়োজন, ফারাহ খান

আমি কৌতুক পছন্দ করি না৷ তবে হালকা পাগলামি বেশ লাগে৷ কোনও চরিত্রকে নিয়ে হাস্যকর আলোচনা হলে তা পছন্দ করি৷ আমাকে হাসানো এত সহজ নয়৷ আমি একটু উচ্চাঙ্গের কৌতুক পছন্দ করি৷ যা তা কিছু একটা পরিবেশন করলেই আমি হেসে গড়িয়ে পড়ব না৷

ফারাহ খান (Photo Credits: Twitter)

আমি কৌতুক পছন্দ করি না৷ তবে হালকা পাগলামি বেশ লাগে৷ কোনও চরিত্রকে নিয়ে হাস্যকর আলোচনা হলে তা পছন্দ করি৷ আমাকে হাসানো এত সহজ নয়৷ আমি একটু উচ্চাঙ্গের কৌতুক পছন্দ করি৷ যা তা কিছু একটা পরিবেশন করলেই আমি হেসে গড়িয়ে পড়ব না৷ কারোর মধ্যে যদি কৌতুকের ছিটেফোটা না থাকে তাহলে আমি মেকি হাসি হাসতে পারব না৷ জি কমেডি শোয়ে ‘লাফিং বুদ্ধা’-র ভূমিকায় উপস্থিত হয়ে একথাই বললেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান (Farah Khan)৷ আরও পড়ুন-আমেরিকার বিমানের মধ্যে সন্তান প্রসব করলেন আফগান মহিলা

‘লাফিং বুদ্ধা’ নিয়ে মুখ খুলে ফারাহ বলেন, “শোয়ের হোস্টরা আমাকে বিচারক বানালেও৷ আপাত দৃষ্টিতে আমি কিন্তু বিচার করছি না৷ কলাকুশলীদের কার্যকারীতা উপভোগ করছি মাত্র৷ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী একটি টিম পারফরম্যান্স দেখিয়ে আমি ঠিক কতবার হাসাতে পারে, তার উপরে নির্ভর করবে হারজিৎ৷” এই কমেডি শোয়ের বিচারকের আসনে বসে ব্যক্তিগত উপকারও পারছেন পরিচালক৷   কারণ নানারকম কৌতুক দেখে তাঁর মানসিক অস্থিরতা কাটছে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের হাসির প্রয়োজন রয়েছে৷ আমাদের সবার হাসা উচিত৷ বিশেষ করে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে মানুষের প্রত্যেকেরই একটা জমজমাট হাসির ডোজ নেওয়া উচিত৷ কারণ এই কোভিড ঢেউ ছিল ভীষণ হতাশার৷ প্রতিদিন আমরা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশী নাহলে বলিউডের কারোর থেকে শুধুই দুঃসংবাদ পাচ্ছিলাম৷”

এই মহামারী ফারাহ খানের উরেও দারুণ প্রভাব ফেলেছে তাই বর্তমান পরিস্থিতিও তাঁর কাছে অনেকবেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে৷ এই প্রসঙ্গে কোরিওগ্রাফার চলচ্চিত্র নির্মাতা বললেন, “সেই সময় দুটি পর্যায় ছিল৷ একটা ভীষণ চিন্তার অন্যটা দারুণভাবে মেনে নেওয়ার৷ যখন প্রথম লকডাউন হল, তাখন সবাই ভীষণ চিন্তিত ছিল৷ সবাই তাঁদের কাজ ও উপার্জন নিয়ে অথৈ জলে পড়ে৷ সবাই তখন একটাই কথা ভাবছিল, কবে সব পুনরায় খুলবে৷ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে মানুষ এখন সাততাড়াতাড়ি ছবি বানিয়ে রিলিজ করে দিচ্ছে৷ আমি কিন্তু এই তাড়ায় নেই৷ যখন হওয়ার তখন হবে, এঠা ভেবে নিয়ে একেবারে ধীরস্থির শান্ত হয়ে গেছি৷”