Satish Kaushik: 'দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুন', সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে নীরবতা ভাঙলেন শিল্পপতি বিকাশ মালু

শিল্পপতির স্ত্রীয়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যেই নাকি সতীশকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। স্ত্রীয়ের আনা অভিযোগের পর শিল্পীপতি বিকাশ মালু অবশেষে নিজের নীরবতা ভাঙলেন।

Satish kaushik Last Dance at Holi Party 2023 (Photo Credits:

নয়া দিল্লি, ১২ মার্চঃ শিল্পপতি বিকাশ মালুর (Vikas Malu) দিল্লির বাদান বাড়িতে আয়োজিত হোলি (Holi 2023) পার্টিতে শেষবারের মত দেখা গিয়েছিল প্রয়াত অভিনেতা তথা পরিচালক সতীশ কৌশিককে (Satish Kaushik)। সেই হোলি পার্টিতে সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরে সকলের সঙ্গে অভিনেতার নাচের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন শিল্পপতি নিজেই।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমি মরতে চাই না, আমাকে বাঁচাও’, মৃত্যুর আগে বলেছিলেন সতীশ কৌশিক

অন্যদিকে, কুবের গ্রুপের কর্নধর বিকাশ মালুর (Vikas Malu) দ্বিতীয় স্ত্রী সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর জন্যে শিল্পপতির দিকেই আঙুল তুলছেন । শিল্পপতির স্ত্রীয়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন অভিনেতা (Satish Kaushik)। কিন্তু সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যেই নাকি সতীশকে বিষ খাইয়ে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। কিন্তু বাগান বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে কিছু নিষিদ্ধ ওষুধ ছাড়া আর তেমন কিছুই পায়নি পুলিশ।

হোলি পার্টিতে শেষবারের মত নাম প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিকের...

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Vikas Malu (@vmkuber)

স্ত্রীয়ের আনা অভিযোগের পর শিল্পীপতি বিকাশ মালু অবশেষে নিজের নীরবতা ভাঙলেন। রবিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। যেতে যিনি লেখেন, ‘যদি সত্যিই কিছু খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে আমি পুলিশের তদন্ত এবং ভারতের আইনকে সম্মান জানাব। দেশের আইনে ভরসা রাখুন’।

Vikas Malu Instagram Story (Photo Credits: Instagram)

উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ জীবনাবসান ঘটে ‘তেরে নাম’ (Tere Naam) পরিচালক সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik)। অভিনেতা তথা পরিচালকের আচমকা প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে। ৬৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। প্রাথমিকভাবে সতীশ কৌশিকের মৃত্যুকে হার্ট অ্যাটাক বলে অনুমান করা হলেও শিল্পপতি বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেতার মৃত্যুর জন্যে তাঁর স্বামীকে দায়ি করছেন। ফলে সতীশ কৌশিকের মৃত্যু আরও রহস্যময় হয়ে উঠছে দিল্লি পুলিশের কাছে।