Mika Singh: টুইটারে ছেড়ে এবার মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ুক নেটিজেনরা, চাইছেন মিকা সিং
মহামারীতে জর্জরিত দেশ৷ হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ৷ হাসপাতালে বেড নেই৷ মর্গে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীর দেহ৷ গঙ্গায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ৷ এই সময় টুইটারে কমেন্ট না করে বাস্তবে কিছু করে দেখান৷ যা এই মহামারীর সময় উপকারে আসবে৷
মহামারীতে জর্জরিত দেশ৷ হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ৷ হাসপাতালে বেড নেই৷ মর্গে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীর দেহ৷ গঙ্গায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ৷ এই সময় টুইটারে কমেন্ট না করে বাস্তবে কিছু করে দেখান৷ যা এই মহামারীর সময় উপকারে আসবে৷ এমনই কথা বললেন সংগীত শিল্পী মিকা সিং (Mika Singh)৷ তাঁর নিজের একটি এনজিও রয়েছে৷ এই করোনাকালে এনজিও-র তত্ত্বাবধানে লঙ্গরখানা চালু করেছেন তিনি৷ আজ থেকে বাস চালক, পথশিশু, গরিব ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করবে এই লঙ্গরখানা৷ এই প্রসঙ্গে মিকা বলেন, “যখন দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন শুরু হল সেসময় আন্দোলনরত কৃষকদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল৷ তখন দেশবাসী টুইটারেই সক্রিয় ছিল৷ সেখানে নানারকম আস্ফালন চলছিল৷ কেউই টুইটার ফেলে বাইরে এসে আসল কাজটা করেনি৷” আরও পড়ুন-Israel-Palestine conflict: তেল আভিভে বিস্ফোরণ, ফের তলানিতে ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইন সম্পর্ক
“নেটিজেনদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ টুইটারে জ্ঞান দান না করে কিছু কাজের কাজ করুন৷” কৃষক আন্দোলনের একনিষ্ঠ সমর্থক হলেন মিকা সিং৷ এখনও কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেনি তিনি৷ তবে এই মহামারীর সময় তাঁর সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু মহামারীতেই নিবদ্ধ৷ কারণ এটি সবথেকে বড় ঘটনা, তিনি মনে করেন সবার উচিত মহামারীকে রুখতে নিজে থেকে কিছু করা৷
তিনি আরও বলেন, “আমি নিশ্চিত কৃষকদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে সরকার৷ দেশে সরকারের থেকে বড় কিছু নেই৷ তবে এই মুহূর্তে সমস্ত প্রাধান্য মহামারীকে দেওয়া উচিত৷ মানুষ যত না করোনায় মরছে তারচেয়ে বেশি অনাহারে শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ পথশিশু, ফুটপাথবাসী, চাকরি হারিয়ে যাঁরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন, করোনাকালে তাঁদের জন্যই বেশি চিন্তা হচ্ছে৷ তাঁদের ভরপেট খাবারের পাশাপাশি পানীয়জল ও পোশাকের প্রয়োজন রয়েছে৷ খোলা আকাশের নিচে নয়, এই অসহায় মানুষগুলোর জন্য একটা ছাদের বন্দোবস্ত করতে হবে৷ যেখানে তাঁরা নিশ্চিন্তে চোখের পাতা এক করতে পারেন৷”