Asrani Top 10 Films: প্রয়াত আসরানি, শোলের জেলার থেকে হেরা ফেরির ব্য়াঙ্ক ম্যানেজার, আসরানির সেরা দশ কাজ

৮৪ বছর বয়সে দীপাবলিতে জীবনপ্রদীপ নিভল আসরানির। তাঁর পুরো নাম গোবর্ধন আসরানি। সাড়ে তিনশোটিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। প্রথম সিনেমা ১৯৬৭ সালে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, হেলেন অভিনীত 'হারে কাঁচ কি চুড়িয়াঁ'।

Asrani

Asrani Top 10 Films: দেশজুড়ে চলা কালীপুজো ও দিওয়ালির আলোর উতসবের মাঝে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন বলিউডের তারকা অভিনেতা আসরানি। ৮৪ বছর বয়সে দীপাবলিতে জীবনপ্রদীপ নিভল আসরানির। তাঁর পুরো নাম গোবর্ধন আসরানি। সাড়ে তিনশোটিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। প্রথম সিনেমা ১৯৬৭ সালে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, হেলেন অভিনীত 'হারে কাঁচ কি চুড়িয়াঁ'। এই সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক ঘটে তাঁর। ২০২৩ সালে তাঁকে 'নন স্টপ ধামাল' সিনেমায় জাস্স ভাইয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। তার মাঝে ৩৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। কমেডির পাশাপাশি তিনি বহু নাটকীয় চরিত্রেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। ধর্মেন্দ্র থেকে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, সলমন খান থেকে অক্ষর কুমার, গোবিন্দা, জিতেন্দ্র, আয়ুষ্মান খুরানা, সব তারকা অভিনেতাদের বড় হিটের পিছনে তাঁর ভূমিকা ছিল।

আসরানির মুখে শোলের সেই বিখ্যাত সংলাপ

তাঁর স্মরণে দেখে নেওয়া যাক আসরানির অভিনীত সেরা ১০টি সিনেমা ও চরিত্র-

১) শোলে (১৯৭৫ সাল) : জেলর

' হাম আংরেজো কে জামানে কা জেলার হেঁ (Hum angrezon ke zamaane ke jailor hain!)' এই সংলাপেই চিরঅমর হয়ে আছেন আসরানী। তাঁর হাস্যরসের অভিনয় আজও সবার মুখে মুখে ঘোরে।

দেখুন শোলের বিশেষ চরিত্রে আসরানিকে

২) আজ কী তাজা খবর (১৯৭৩) : মুন্সি

এই ছবিই তাঁকে বলিউডের সেরা কৌতুক অভিনেতাদের তালিকায় স্থায়ী জায়গা দেয়।

৩) ছোটি সি বাত (১৯৭৬): চান্দু

অমল পালেকারের সঙ্গে সহজ-সরল হাস্যরস, যা দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়।

ধামাল সিনেমায় আসরানি

৪) হেরা ফেরি (২০০২): নন্দ কিশোর

পর্দায় তাঁর 'বকো না খাও!' সংলাপ ও ভঙ্গিমা দর্শককে হাসিয়ে কাঁদায়।

৫) চুপ চুপ কে (২০০৬): পন্ডিত

শাহিদ কাপুর ও রাজপাল যাদবের সঙ্গে অসাধারণ কমিক কেমিস্ট্রি।

দেখুন ভিডিও

৬) হালচাল (২০০৪) : পন্ডিত জি

প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় ছোট চরিত্র হলেও মনে রাখার মতো অভিনয়।

৭) চালা মুরারী হিরো বননে (১৯৭৭)

এটি আসরানীর পরিচালিত ও অভিনীত চলচ্চিত্র— স্বপ্ন ও সংগ্রামের গল্প, যেখানে তিনি নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন।

৮) পরিচয় (১৯৭২)

সিরিয়স বিষয় সিনেমায়ও তাঁর উপস্থিতি সবসময় আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

৯) অভিনন্দন (১৯৭৬)

পার্শ্বচরিত্র হয়েও আবেগ ও হাসির সূক্ষ্ম মিশ্রণ এনে দিয়েছেন।

১০)আলাপ (১৯৭৭)

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয়ে তাঁর সুরেলা সংলাপ ও মানবিকতা আজও প্রশংসিত।

এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য যেসব সিনেমায় অভিনয় করেন আসরানি-

বাওয়ারচি (১৯৭৩), নমক হারাম (১৯৭৩), সালাম মেমসাহাব (পরিচালক হিসাবে, ১৯৭৯), দ্য বার্নিং ট্রেন (১৯৮০), এক দুজে কে লিয়ে (১৯৮২), হিম্মতওয়ালা (১৯৮৩), জো জিতা ওহি সিকান্দার (১৯৯৩), ঘোরওয়ালি বাহারওয়ালি (১৯৯৮), বড়ে মিঁয়া ছোটে মিয়াঁ (১৯৯৮), মেলা (২০০০), হেরা ফেরি (২০০০), আমদানি আঠ্ঠান্নি খরতা রুপাইয়া (২০০১), আওয়ারা পাগল দিওয়ানা (২০০২), দিল বিল পেয়ার ভেয়ার (২০০২), বাগবান (২০০২), হালচাল (২০০৪), কিঁউ কী (২০০৫), গরম মশালা (২০০৫), দিওয়ানা হুয়ে পাগল (২০০৫), চুপ চুপ কে, মালামাল উইলকি (২০০৬), ধামাল (২০০৭), ওয়েলকাম (২০০৭), বিল্লু (২০০৮), খাট্টা মিঠা (২০১০), বডিগার্ড (২০১১), এজেন্ট বিনোদ (২০১২), ইমলা পাগলা দিওয়ানা (২০১৮), বান্টি অউর বাবলি (২০২১), ড্রিম গার্ল ২ (২০২৩)।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement