A. R. Rahman's Birthday: ৯ বছর বয়সে বাবা-কে হারিয়েছিলেন, টাকার জন্য বিক্রি করতে হয়েছিল বাদ্যযন্ত্রও

R. Rahman) । যার সংখ্যা ২০০-রও বেশি। তবে ২০০৯ সাল ছিল তাঁর জন্য স্মরণীয়। 'স্লামডগ মিলিনিয়র'-র(Slumdog Millionaire) মিউজিক কম্পোজার হিসেবে সেরা অরিজিনাল মিউজিক স্কোর ও সেরা অরিজিনাল সং 'জয় হো'-র জন্য দু'টি অস্কার জেতেন তিনি।

Photo Source: Instagram/ AR Rahman

মুম্বই, ৬ ডিসেম্বর: ৫৩ তম জন্মদিন আজ সুরের জাদুকরের। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৯ সাল। ১৭ বছর ধরে তিনি তামিল, তেলেগু, হিন্দি, মালায়ালাম, মারাঠি, কানাড়া, ম্যান্ডারিন ও ইংরেজি ভাষায় অ্যালবাম তৈরি করেছেন এ আর রহমান(A. R. Rahman) । যার সংখ্যা ২০০-রও বেশি। তবে ২০০৯ সাল ছিল তাঁর জন্য স্মরণীয়। 'স্লামডগ মিলিনিয়র'-র(Slumdog Millionaire) মিউজিক কম্পোজার হিসেবে সেরা অরিজিনাল মিউজিক স্কোর ও সেরা অরিজিনাল সং 'জয় হো'-র জন্য দু'টি অস্কার জেতেন তিনি।

বয়স ছিল মাত্র ৯, বাবাকে হারিয়ে জীবনের সবথেকে কঠিন মুহূর্তের মুখোমুখি হন রহমান। দারিদ্রতার চরমতম মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন তিনি। টাকার জন্য ঘরে থাকা সমস্ত প্রিয় বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করে দিতে হয়েছিল তাঁকে। সেই টাকা দিয়েই কোনওমতে টেনেটুনে সংসার চলছিল রহমান থুড়ি দিলীপ কুমারের। ১৯৬৭ সালের ৬ জানুয়ারি চেন্নাইয়ের সংগীত পরিবারে জন্ম দিলীপ কুমারের। তাঁর বাবা আর কে শেখর ছিলেন তামিল এবং মালায়লাম সঙ্গীত জগতের নামজাদা সুরকার। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে স্টুডিওতে যেতেন দিলীপ। এভাবেই আসতে আসতে গান ভালবেসে ফেলেন রহমান। ৪ বছর বয়সে পিয়ানো বাজানো শিখেছিলেন তিনি।আরও পড়ুন:Kapil Dev's Birthday: ১৩১ টি টেস্ট ম্যাচে ৫২৪৮ রান এবং ৪৩৪ উইকেট পেয়ে ভারতীয় হিসেবে রেকর্ড গড়েন তিনি

ওস্তাদ ধনরাজের হাত ধরে সঙ্গীত জগতে হাতেখড়ি রহমানের। এরপর জাকির হুসেন, কুন্নাকুড়ি বৈদ্যনাথ এবং এল শঙ্করের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ট্যুর করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে দিলীপের ছোট বোন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের জোরে ধর্মান্তরিত হন তিনি। পাশাপাশি দিলীপ কুমার নামটিও ছোটবেলা থেকে অপছন্দ ছিল দিলীপের। সে মনে করত, তাঁর কাজকর্মের সঙ্গে নামটি একেবারেই স্যুট করে না। যার জন্য ধর্মের পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে নামটিও পরিবর্তন করলেন তিনি। দিলীপ কুমার থেকে তিনি হয়ে উঠলেন এ আর রহমান।

১৯৯৭ সালের ১৫ আগস্ট তার কন্ঠে প্রথম অ্যালবাম বের হয় বন্দে মাতরম, শুধু ভারতে অ্যালবামটি বিক্রি হয়েছিল ১.২ কোটি পিস। এ আর রহমানের গানে পশ্চিমা সুরের পাশে জাপানি পেন্টাটনিক সুরও উঁকি দেয়। যা বলিউডের গানকে দিয়েছিল এক অন্য মাত্রা। ১৯৯৫ সালে বম্বে ছবিতে প্রথম প্লে ব্যাক তাঁর। মণি রত্নমের ‘রোজা’ সিনেমার দুটি গান জিতেছিল দুটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সেরা ১০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় নাম তুলেছিলেন রহমান। তিনিই প্রথম এবং একমাত্র ইন্ডিয়ান মিউজিশিয়ান, যাঁর অ্যালবাম বিশ্বজুড়ে ২০ কোটি কপির চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে।