তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতা নয়, কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না রাষ্ট্রপুঞ্জ

কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের আব্দারে পাত্তাই দিল না রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। উল্টে দুই তরফকেই সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলেন মহাসচিব আন্তোনিও গুয়াত্রেস (UN chief Antonio Guterres)। ভারত পাকিস্তান দুই পক্ষ মিলে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এই ইস্যু মেটাতে কোনও তৃতীয়পক্ষ অংশ নেবে না।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তনিও গুাত্রেস (Photo Credit: Twitter)

রাষ্ট্রপুঞ্জ, ৯ আগস্ট:  কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের আব্দারে পাত্তাই দিল না রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। উল্টে দুই তরফকেই সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলেন মহাসচিব আন্তোনিও গুয়াত্রেস (UN chief Antonio Guterres)। ভারত পাকিস্তান দুই পক্ষ মিলে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এই ইস্যু মেটাতে কোনও তৃতীয়পক্ষ অংশ নেবে না। তাছাড়া সিমলা চুক্তি (Simla Agreement) যখন রয়েছে তখন তা মেনেই সবটা নির্ধারিত হোক। এখানে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতার তো প্রয়োজন দেখছি না। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার কয়েকদিন পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে একথাই বললেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়াত্রেস। আরও পড়ুন-শিশুদের স্বার্থে কাশ্মীরে শান্তি ফিরুক, টুইটে আবেদন মালালা ইউসুফজাইয়ের

এই প্রসঙ্গে ১৯৭২ সালে ভারত-পাকিস্তান চুক্তির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক (Stephane Dujarric) বলেন, তাতে বলা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ পথে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবেদন, কোনও পক্ষই যেন এমন পদক্ষেপ না করে যাতে জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষতি হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জ তার সনদ অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান নেবে। এখন জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আমরা যথাসাধ্য সংযত থাকার জন্য দু’পক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জ ঠিক কী অবস্থান নিতে চলেছে জানতে চাইলে স্টেফানি বিস্তারিত জানাননি। কিন্তু কাশ্মীরে যেভাবে কড়াকড়ি করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহাসচিব এখন ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে কাশ্মীর নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কোনও বিবৃতি দেবেন না।

উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তিকে ভারত আভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করলেও পাকিস্তান তা মানতে নারাজ। ভারতের বক্তব্য অনুযায়ী স্পেশ্যাল স্টেটাস উঠে যাওয়ায় কাশ্মীরের বাসিন্দাদের এবার সার্বিক উন্নতি হবে। কর্ম সংস্থান শিল্প লগ্নি আসবে উপত্যকায়। তবে এতথ্য মানতে নারাজ পাকিস্তান। যদিও ভারতের দাবি, কাশ্মীরিদের উন্নয়ন হলে তারা শিক্ষিত হলে কোনওভাবেই পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি কার্যকলাপকে প্রাধান্য দেবে না। এতে পাকিস্তানের সমূহ ক্ষতি। তাই বার বার বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত হুমকিতে যখন ভয় পেল না তখন একে একে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সমঝোতা এক্সপ্রেস, বলিউড সিনেমা সবেতেই বয়কট ডাকল ইমরান খানের সরকার। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সতর্কীকরণের পর কী করে সেটাই দেখার।

 

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now