UK Elections Results 2024: লেবারদের সিদ্ধিলাভে সন্ন্যাসে ঋষি, সিংহাসনে কেইর স্টারমের, ব্রিটেনের ভোটে পালাবদলের সুনামি
ব্রিটেনে পালাবদল। রানীর দেশে সন্ন্যাসে ঋষি! ভারতের মত ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনেও বড় চমক। তবে ভারতের মত এক্সিট পোল মুখ থুবড়ে পড়ল না।
লন্ডন, ৫ জুলাই: ব্রিটেনে (UK Elections 2024) পালাবদল। রানীর দেশে সন্ন্যাসে ঋষি! ভারতের মত ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনেও বড় চমক। তবে ভারতের মত এক্সিট পোল মুখ থুবড়ে পড়ল না। বরং এক্সিট পোলের হিসেব মতই ঐতিহাসিক পরাজয়ের মুখে পড়লেন ব্রিটেনের ভারতীয় বংশদ্ভূত কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। ১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ফিরল লেবার পার্টি (Labour Party)। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন কেইর স্টারমের। হবু প্রধানমন্ত্রী ৬১ বছরের স্টারমের সারের বাসিন্দা। অনুপ্রবেশকারী, অন্য দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ওপর কড়া অবস্থান নেবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তোলেন স্টারমের। বাংলাদেশের অভিবাসনকারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল বিতর্কের মধ্যে পড়ার পর ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতায় এসে তিনি শেখ হাসিনের সঙ্গে কথা বলে দু দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর দেবেন।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মতই সবাইকে চমকে ঘুরে দাঁড়াল লেবার পার্টি। ইউকে-র ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে এখনও পর্যন্ত ৫৮৫টি-র ফল সামনে এসেছে। যাতে ৩৮৯টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি। যেখানে সরকার গড়তে লাগে ৩২৬টি আসনে। গতবারের চেয়ে এখনও ১৯৪টি বেশী আসনে জিতেছে লেবার-রা। অন্যদিকে, ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯৯টি আসনে জিতেছে। যেখানে তারা গতবার জিতেছিলেন ৩১৭টি আসনে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি নিজের আসনে জিতলেও তাঁর মন্ত্রিসভার বেশীরভাগ হেভিওয়েট মন্ত্রীরাই পরাস্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, লেবার পার্টি এবার এমন বেশ কিছু আসনে জিতেছে, যেখানে তারা আগে কখনও জেতেনি। ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের জমানার পর লেবার পার্টি এই প্রথম এত বড় জয় পেল। আরও পড়ুন-বিরাটের ফোনে নিম করোলি বাবার ওয়ালপেপার, কঠিন সময়ে আশীর্বাদ পেতে মুঠোফোনে মহারাজজির ছবি (দেখুন ছবি)
দেখুন ফল এক নজরে
গত ১৪ বছরে ঋষি সুনাক প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থেকে হারলেন। কিন্তু কেন এত বড় ভরাডুবি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ফল মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়। সুনাক ক্ষমতায় আসার পর ব্রিটেনের উন্নতির কোনও লক্ষ্মণই চোখে পড়েনি। সোনকের আমলেই ইউকে অর্থনীতিতে মন্দা আসেন, বেকারত্বের হার বাড়ে। তবে এর চেয়েও বড় কারণ হল অভিবাসী ইস্যুকে ঠিকমত সামলাতে না পারা। অন্য দেশ থেকে আসা মানুষরা ব্রিটিশদের রোজগার কাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা খারাপের পিছনে দায়ি হচ্ছে। ব্রিটিশদের এই ক্ষোভটা সরাসরি গিয়ে পড়ল সুনাকের ওপর।