UK Banned Pak Religious Leader: জোর করে ধর্মান্তকরণ ও নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের বিয়ে জড়িত পাক ধর্মগুরুর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেন

ডনের (Dawn) খবরে অনুযায়ী, মিঞা মিঠু (Mian Mithu) নামে পরিচিত এই মৌলবী জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের বিয়েতে জড়িত থাকার অভিযোগে উচ্চ সিন্ধে কুখ্যাত। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় এক মুসলিমের সঙ্গে বিয়ের আগে হিন্দু তরুণী রিঙ্কল কুমারীকে (Rinkle Kumari) ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন মিঠু।

Mian Mithu (Photo Credit: Sagar Suhindero/ Twitter)

নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের এক বিতর্কিত ধর্মযাজককে ব্রিটিশ সরকারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে, যার ফলে পাকিস্তান ১১টি দেশের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে যেখানে অধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। ডনের (Dawn) খবরে অনুযায়ী, মিঞা মিঠু (Mian Mithu) নামে পরিচিত এই মৌলবী জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের বিয়েতে জড়িত থাকার অভিযোগে উচ্চ সিন্ধে কুখ্যাত। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় এক মুসলিমের সঙ্গে বিয়ের আগে হিন্দু তরুণী রিঙ্কল কুমারীকে (Rinkle Kumari) ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন মিঠু। মিঞা মিঠুর দাবি, জোর করে ধর্মান্তর করা হয়নি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আবারও খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। যদিও একাধিকবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এমনকি সিন্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রচার করেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।ব্রিটিশ হাইকমিশন 'ডন'কে জানান যে যুক্তরাজ্য ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং বিশ্বজুড়ে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। Bangladeshi Journalist Kajol: আন্ডারগ্রাউন্ড সেলে রেখে সাংবাদিকের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ হাসিনার প্রশাসনের বিরুদ্ধে

নিষেধাজ্ঞার নতুন প্যাকেজ মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন সিন্ধুর ঘোটকির (Ghotki) ভরচুন্ডি (Bharchundi) শরিফ মাজারের ধর্মযাজক মিয়া আবদুল হক (Mian Abdul Haq), যিনি অমুসলিম ও নাবালকদের জোর করে বিয়ে এবং জোর করে ধর্মান্তরের জন্য দায়ী। এই নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে অন্য কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।নিষেধাজ্ঞার কার্যকর অর্থ হলো, মনোনীত ব্যক্তিরা ব্রিটিশ নাগরিক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসা বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না এবং তাদের ব্রিটেনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই মৌলবী ৩০ জনের একজন, যাদের সর্বমোট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিঠুসহ ১৮ জনকে 'মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের' জন্য টার্গেট করা হয়েছে। এদিকে, এই ব্যক্তির কারণে পাকিস্তানের নাম কলঙ্কিত হওয়ায় পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র হতাশা প্রকাশ করেছে।