Sri Lanka Economic Crisis: আর্থিক সংকট প্রবল শ্রীলঙ্কায়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ

ক্রমশ জটিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক অবস্থা। গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। সরকার বিরোধী ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (President Gotabaya Rajapaksa) বাড়ির কাছে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাঁর পদত্যাগের দাবিও তোলে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভ দমন করতে আধাসামরিক পুলিশ ইউনিট, একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্সকে ডাকতে হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ৪৫ জনকে।

Protests in Colombo outside President Gotabaya Rajapaksa's residence (Photo: ANI)

কলম্বো, ১ এপ্রিল: ক্রমশ জটিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক অবস্থা। গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। সরকার বিরোধী ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (President Gotabaya Rajapaksa) বাড়ির কাছে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাঁর পদত্যাগের দাবিও তোলে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। বিক্ষোভ দমন করতে আধাসামরিক পুলিশ ইউনিট, একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্সকে ডাকতে হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ৪৫ জনকে।

পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, "গত রাতে মিরিহানা, নুগেগোডায় বিক্ষোভের পরে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচজন পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বাস, জিপ ও দু'টি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি জলকামান ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।" সরকারের দাবি, চরমপন্থী লোকজনই এই বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে। অধিকাংশ অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Imran Khan Refuses To Resign: যাই হয়ে যাক না কেন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন না, জানালেন ইমরান খান

স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কয়েক সপ্তাহ ধরে খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, জ্বালানি ও গ্যাসের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিজেল পাওয়া যায়নি। কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার পরিবহন ব্যবস্থা। ১৩ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন ছিল দেশটি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাস্তার আলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ওষুধের অভাবে হাসপাতালগুলিতে অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।