ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ, রাষ্ট্রদূত-সহ ৪ শীর্ষকর্তাকে গুলিতে ওড়াল কিম জং উন প্রশাসন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, এই কারণে রীতিমতো বিরক্ত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে রাষ্ট্রদূত-সহ উত্তর কোরিয়ার চার শীর্ষ কর্তা, এই অভিযোগে পাঁচজনকেই বুলেটে উড়িয়ে দিল কিম জং প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, এই কারণে রীতিমতো বিরক্ত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। দেশের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে রাষ্ট্রদূত-সহ উত্তর কোরিয়ার চার শীর্ষ কর্তা, এই অভিযোগে পাঁচজনকেই বুলেটে উড়িয়ে দিল কিম জং প্রশাসন। এই নৃশংস ঘটনাটি গত মার্চে ঘটলেও, খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে গতকাল রাতে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র চোসান ইলবো- (Chosun Ilbo ) খবরে জানা যায়, ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক সফল না হওয়াতেই কিম হোক-সহ চার শীর্ষকর্তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে দাঁড়িয়ে গুলি করে মারা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মার্চে। কিম জং উনের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে মত দিচ্ছিল না। বিপদ বুঝে হোয়াইটহাউসের তরফে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ যায় উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের কাছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের সঙ্গে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বৈঠকে বসেন (Hanoi Summit) কিম জং উন (Kim Jong Un) । আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনার গতি মন্দ ছিল না। তা ছাড়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আগ্রহও অসীম। কিন্তু কূটনীতিকরা মনে করেন, পরিবর্তে উত্তর কোরিয়া অনেক কিছু চেয়ে বসছিল। তাদের উপর যে সব নিষেধাজ্ঞা আমেরিকা আরোপ করে রেখেছিল, তা প্রত্যাহারের যেমন দাবি জানায় পিয়ংইয়ং, তেমনই আবার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে যে পদক্ষেপগুলি করার কথা বলছিল তাও ওয়াশিংটনের কাছে সন্তোষজনক ছিল না। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসের শীর্ষ সম্মেলন ভেস্তে যায়।
এরপরেই রেগে যান কিম জং উন, তাঁর নির্দেশে মিরিম বিমানবন্দরে (Mirim Airport) কিম হোক ও বিদেশ মন্ত্রকের চার শীর্ষ কর্তাকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে বাকি অফিসারদের নাম এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনাই চাপা দিয়ে রেখেছে পিয়ংইয়ং।
তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রশাসনিক সখ্যতায় বেশ খানিকটা এগিয়েছে কিম প্রশাসন, সেখানে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম চোসান ইলবো-র এই খবর প্রকাশে কোনও বিপত্তি বাধবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ কিম হোকের খুনের ঘটনা নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেছে। তবে যদি সত্যি এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে তাহলে কিম জং উন হল সবথেকে নৃশংস প্রেসিডেন্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর জবাব চাইবে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)