Trump H-1B Visa: ট্রাম্পের ভিসা নীতিতে চরম অনিশ্চয়তা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে, কর্মীদের জরুরি নির্দেশ মাইক্রোসফটের , আকাশছোঁয়া হল বিমান ভাড়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের H-1B ভিসা নীতি নিয়ে তীব্র সঙ্কটের মুখে পড়লেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। বিশেষত যেসব ভারতীয় এখন কর্মসূত্রে আমেরিকায় আছেন, তাদের পুরোপুরি অনিশ্চয়তা ঠেলে দিল ট্রাম্পের এই ভিসা নির্দেশ। এরই মাঝে মাইক্রোসফট তাদের সমস্ত H-1B এবং H-4 ভিসাধারী কর্মীদের উদ্দেশে এক অভ্যন্তরীণ ইমেল পাঠায়।

US President Donald Trump (Photo Credit: X)

Trump H-1B Visa: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (President Donald Trump) H-1B ভিসা নীতি নিয়ে তীব্র সঙ্কটের মুখে পড়লেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। বিশেষত যেসব ভারতীয় এখন কর্মসূত্রে আমেরিকায় আছেন, তাদের পুরোপুরি অনিশ্চয়তা ঠেলে দিল ট্রাম্পের এই ভিসা নির্দেশ। এরই মাঝে মাইক্রোসফট তাদের সমস্ত H-1B এবং H-4 ভিসাধারী কর্মীদের উদ্দেশে এক অভ্যন্তরীণ ইমেল পাঠায়। মেলে লেখা হয় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর, রবিবার মার্কিন সময় রাত ১২টার মধ্যে সবাইকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে হবে। তা না হলে দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে পড়তে হবে চরম সমস্যায়। মাইক্রোসফটের পাশাপাশি মেটা, অ্যামাজন, জেপি মরগানও কর্মীদের উদ্দেশে একইরকম সতর্কবার্তা দিয়েছে। কারও ক্ষেত্রে ১৪ দিনের ‘স্টে-অর্ডার’, কারও ক্ষেত্রে সরাসরি ২১ সেপ্টেম্বরের 'ডেডলাইন'।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, H-1B ভিসার জন্য প্রতি বছর কোম্পানিগুলিকে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার দিতে হবে। রবিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নির্দেশ। সেই কারণেই মাইক্রোসফটের এই নির্দেশ। বিদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া কিংবা অফিসিয়াল সফরে থাকা কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন। এমনকি H-4 ভিসাধারী (অর্থাৎ H-1B হোল্ডারদের স্ত্রী-সন্তানদের ক্ষেত্রেও) একই নির্দেশ প্রযোজ্য হচ্ছে, যদিও এই নতুন ফি তাঁদের জন্য আলাদা করে নির্ধারিত নয়। মাইক্রোসফটে কর্মরত যাঁরা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনওভাবেই এখন বিদেশে ভ্রমণ বা সফর করবেন না। অন্তত পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই অবস্থাই বজায় রাখতে হবে। H-1B প্রোগ্রামকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অভিযোগ তুলেছেন, এর ফলে ভিসা জালিয়াতি, অর্থ পাচার এবং আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে আমেরিকানদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু মাইক্রোসফটেরই ভারতে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী রয়েছেন। ট্রাম্পের নতুন ভিসা ফি মানে কোম্পানিগুলির বাজেটে বাড়তি আর্থিক চাপ। অনেক কোম্পানি এরই মধ্যে কানাডা ও ইউরোপের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। হাজার হাজার দক্ষ পেশাদার, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আমেরিকায় যান, তাঁদের মধ্যে এখন প্রবল উৎকণ্ঠা। বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। অনেকে শেষ মুহূর্তে দেশে ফেরার বিমানের টিকিটও কাটতে শুরু করছেন। H-1B ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় বছর। মূলত STEM ফিল্ডের দক্ষ কর্মীদের টানতেই এই প্রোগ্রাম। কিন্তু ট্রাম্পের লক্ষ্য আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘সেরা প্রতিভা’কে কাজের সুযোগ দেওয়া। সমালোচকদের দাবি, এতে বরং দক্ষ জনবল আরও ঘাটতি দেখা দেবে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now
Advertisement


Advertisement
Advertisement
Share Now
Advertisement