উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ভাই সিআইএ-র গুপ্তচর, মুখে কুলুপ আমেরিকার
আমেরিকার দাবি, বৈমাত্রেয় ভাইকে খুন করেছেন কিম-জং-উন।
পিয়ংইয়ং, ১২ জুন: উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট তথা ভয়ঙ্কর শাসক কিম জং উনের বৈমাত্রেয় ভাই ছিলেন মার্কিন গুপ্তচর। সম্প্রতি অ্যানা ফিফিল্ড (Anna Fifield) নামের এক সাংবাদিক এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। প্রেসিডেন্ট কিমের ভাইয়ের নাম কিম জং নম, তাঁর ক্যাসিনো-র ব্যবসা ছিল। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ায় খুন হন কিম জং নম (Kim Jong-nam), বলপূর্বক তাঁর মুখে ভি-এক্স সিন্থেটিক নামের কেমিক্যাল ঘষে দেওয়ার পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এই ঘটনায় দুই ভিয়েতনামী মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হলেও চলতি বছরের গোড়াতেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দাদা কিম জং উনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, রীতিমতো ষড়য্ন্ত্র করেই বৈমাত্রেয় ভাইকে উপরে পাঠিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে পিয়ংইয়ং-এর তরফে এই অভিযোগ শোনার পরে পরে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। দোষ গিয়ে পড়ে দুই মহিলা একজন ভিয়েতনামের অন্যজন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। তবে এবছর তারা মুক্তি পেলে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী করে প্রেসিডেন্টের ভাইকে খুন করে দু’বছরের মধ্যেই গারদ থেকে বেরিয়ে এল খুনিরা। তবে ভাই যদি মার্কিন গুপ্তচর হয়ে (Kim Jong-un’s half-brother was an informant) থাকে তাহলে আমেরিকার সঙ্গে কিম জং উনের নবগঠিত সম্পর্ক নিয়ে ফের জলঘোলা হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
জানা গিয়েছে, কিম জং নম যে মার্কিন গুপ্তচর তার প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় নিজের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন কিম নম। শেষ বার যখন সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন কিম নম, সেখানে হোটেলের লিফ্টের সিসিটিভি ফুটেজে এশীয় এক সিআইএ-র কর্মীর সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে বলেও জানান তিনি। অ্যানা ফিফিল্ডের দাবি, ওই সময় কিম নমের ব্যাগে ১ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলার ছিল। চরবৃত্তির জন্য মার্কিন সরকার তাঁকে ওই টাকা দিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা। যদিও কারও কারও মতে, ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল কিম নমের। সেই টাকাই নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নাকি কিম নমের সঙ্গে সিআইএ-র সংযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশি কিছু নথিপত্র হাতে পেয়েছে। ওই সমস্ত নথি থেকে জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণ উপকূলের স্বশাসিত ম্যাকাওয়ে থাকতেন কিম নম। সেখান থেকেই সিআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি।