কাশ্মীর প্রশ্নের আলোচনায় ভারত-পাকিস্তান যথেষ্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই সমর্থন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের
কাশ্মীর ইস্যুকে সমাধানে নিয়ে আসতে কোনও তৃতীয় পক্ষের দরকার নেই। ভারত-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগেই মিটতে পারে সমস্যা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বিশ্ব। এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রকে পাশে পেতে উদগ্রীব নরেন্দ্র মোদি সরকার। সৌভাগ্যের বিষয় কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস খর্ব করার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁকরন।
চানটিলি, ২৩ আগস্ট: কাশ্মীর ইস্যুকে সমাধানে নিয়ে আসতে কোনও তৃতীয় পক্ষের দরকার নেই। ভারত-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগেই মিটতে পারে সমস্যা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বিশ্ব। এই সিদ্ধান্তের পর বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রকে পাশে পেতে উদগ্রীব নরেন্দ্র মোদি সরকার। সৌভাগ্যের বিষয় কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) স্পেশ্যাল স্টেটাস খর্ব করার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁকরন। ফ্রান্স, বাহরিন ও সংযুক্ত আরব আমীরশাহী সফরে বেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। এই ত্রিদেশীয় সফরের শুরুতেই ফ্রান্সে গেলেন তিনি। সেখানেই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁকরনের (Emmanuel Macron) সঙ্গে ৯০ মিনিট একান্তে কথাবার্তা হয়। পরে বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যা (Kashmir issue) ঠেকাতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করুক, এখানে তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, বালাকোট অভিযানের পরে ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ইসলামাবাদ। এদিন পাক আকাশসীমা দিয়েই ফ্রান্সে যান প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৬ সালে জানুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান আল্পস-এর মঁ ব্লা পর্বতমালায় আছড়ে পড়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই বিমানের যাত্রী বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবা-সহ বহু ভারতীয়। তার ১৬ বছর আগে ওই এলাকাতেই এয়ার ইন্ডিয়ার আর একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আগামিকাল ওই দুর্ঘটনাস্থলের কাছে একটি গ্রামে ভাবা এবং নিহত ভারতীয় যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতি মিনারের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই তিনি আমীরশাহী ও বাহরিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের পরে ভারতের বিদেশ নীতি কার্যত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল থেকে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর, এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান উদ্দেশ্য, কাশ্মীর প্রশ্নে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলিকে পাশে পাওয়া। এদিন ফ্রান্সকে পাশে পাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন বৈঠকের পর ইমানুয়েল ম্যাঁকরন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আমাকে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন। উপত্যকায় ওই অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরিও করাও ঠিক হবে না। কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা জরুরি। আমরা চাই, শান্তি এবং আলোচনা। আমি কয়েকদিনে মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তাঁকে জানাব, কাশ্মীর নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসুক।’