Israel-Hamas War: ইজরায়েলে নৃশংস হামালা চালানো কারা এই হামাস? নেতৃত্বেই বা রয়েছে কারা, দেখুন
সাম্প্রতিক সালে, ইজরায়েলের উপর হামলার পরিবর্তে গাজার সরকার কীভাবে আরও ভাল করে চালানো যায়, সেদিকে মন দিয়েছে হামাস। বর্তমানে হামাস সেনার সংখ্যাও বাড়াতে শুরু করেছে। ফলে ইজরায়েলে হামলার পাশাপাশি গাজা স্ট্রিপের মানুষের হয়ে আরও বেশি করে প্রতিনিধিত্ব করছে হামাস।
ইজরায়েলে আকষ্মিক হামলা চালিয়ে গোটা বিশ্বের নজর এক নিমেষে টেনে নিয়েছে হামাস। ইজরায়েলে হামলার পর হামাসের ঘর হিসেবে পরিচিত গাজায় এক নাগাড়ে পালটা হামলা শুরু করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। কারা এই হামাস? কে বা কারা রয়েছে হামাসের নেতৃত্বে? জানা যায়, ১৯৮৭ সালে ইসলামিক রেজিসটেন্স মুভমেন্ট নামে একটি দল হামাস গঠন করে। যারা হরকত-আল-মুকাম্মা- আল ইসলামিয়া হিসেবেও পরিচিত। প্যালেস্তাইনের শরণার্থীরা যাঁরা গাজায় বসবাস করতেন ১৯৮৭ কিংবা তার আশাপাশের সালে, তাঁরাই গঠন করেন হামাস। তবে ১৯২০ সালে ইজিপ্টে যে সুন্নি মুসলিম গ্রুপ কিংবা মুসলিম ব্রাদারহুড গড়ে ওঠে, হামাসের শিকড় নিহিত সেখানে। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান ধর্মীয় নেতা ছিলেন শেখ আহমেদ ইয়াসিন। ইসলামিক স্কলারশিপ নিয়ে প্রথম জীবনে শেখ আহমেদ ইয়াসিন কায়রোতে বসবাস করতেন। কর্মসূত্রে ১৯৬০ সালের দিকে গাজার পশ্চিম দিকে আসেন এই শেখ আহমেদ ইয়াসিন। সেখানেই ১৯৮৭ সালে গাজায় বসে মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে হামাস গঠন করেন শেখ আহমেদ ইয়াসিন।
ইজরায়েলের উপর হামলা থেকে শুরু করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, একমাত্র উদ্দেশ্য হামাসের। গাজা এবং ইজিপ্টের মধ্যে মাটির নীচ দিয়ে একটি টানেল তৈরি করে, সেখান থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ আমদানি করে হামাস। শুধু তাই নয়, ওই টানেলের মাধ্যমে গাজা থেকে হামাস একাধিকবার ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে বলেও জানা যায়।
তবে সাম্প্রতিক সালে, ইজরায়েলের উপর হামলার পরিবর্তে গাজার সরকার কীভাবে আরও ভাল করে চালানো যায়, সেদিকে মন দিয়েছে হামাস। বর্তমানে হামাস সেনার সংখ্যাও বাড়াতে শুরু করেছে। ফলে ইজরায়েলে হামলার পাশাপাশি গাজা স্ট্রিপের মানুষের হয়ে আরও বেশি করে প্রতিনিধিত্ব করছে হামাস।
মহম্মদ দেইফ হল হামাসের সেনা প্রধান। আল-কাসাম ব্রিগেডের মূল মাথা হল মহম্মদ দেইফ। সম্প্রতি ইজরায়েলে যে হামলা হয়, তার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মহম্মদ দেইফ-ই কাজ করে বলে জানা যায়। রিপোর্টে প্রকাশ, হামাসের হামলার পর ইজরায়েল গাজায় যে এক নাগাড়ে অভিযান চালায়, তাতে মহম্মদ দেইফের বাড়িতেও চলে বোমাবর্ষণ। যার জেরে মহম্মদ দেইফের বাবা, দাদা-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। তবে দেইফ এই মুহূর্তে কোথায় রয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য বা সূত্রে এখনও হাতে আসেনি ইজরায়েলি সেনা বাহিনীর। ফলে তন্ন তন্ন হয়ে ইজরায়েলের সেনা খুঁজছে হামাসের সেনা প্রধান মহম্মদ দেইফকে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)