Israel-Hamas War: বিদ্যুতের অভাবে গাজার হাসপাতালগুলি মর্গে পরিণত, পণবন্দিদের না ছাড়লে হামলা বন্ধ নয়, জানাল ইজরায়েল

হামাসের হামলার পর ইজরায়েলের একাধিক শহর থেকে মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ, হামাসের হামলা থেকে নিস্তার পায়নি কেউ। কোথাও কোথাও মহিলাদের ধর্ষণের পর যেমন খুন করা হয়,তেমনি শিশুদের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি করে ইজরায়েলি সেনা।

Gaza (Photo Credit: Twitter)

মানবতার পাঠ পড়াবেন না। হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে গাজায় যেভাবে এক নাগাড়ে হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল, তার বিরোধিতা করলে, এভাবেই ক্ষোভ উগরে দেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। ইজরায়েলের যত নাগরিককে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের মুক্ত করা হচ্ছে, ততক্ষণ গাজায় হামলা বন্ধের কথা ভাবা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ইজরায়েল। গাজায় ইজরায়েলের এক নাগাড়ে যখন হামলা চলছে, সেই সময় নিষ্প্রদীপ প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডের ওই অঞ্চল। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজায় বিদ্যুৎ নেই। ফলে হাসপাতালগুলি কার্যত মর্গে পরিণত হচ্ছে। ফলে গাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতে জ্বালানি পায় এবং হাসপাতালে কাজ শুরু করা যায়, সে বিষয়ে রেড ক্রস আবেদন জানায়। যা ততক্ষণাৎ নস্যাৎ করে দেয় ইজরায়েল।

সূত্রের খবর, গত শনিবারহামাস নৃশংস হামলা চালায় ইজরায়েলে। যার জেরে প্রায় ১৩০০ মানুষের নির্মমভাবে মৃত্যু হয়। ইজরায়েলের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে হামাস হত্যালীলা চালায়। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পার্টিতে গিয়ে সেখানকার মানুষদের খুন করে জঙ্গিরা। যারা হামাসের নৃশংস খুনের হাত থেকে রক্ষা পায়,তাদের নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়। পণবন্দিদের উদ্ধার করতে এই মুহূর্তে বদ্ধপরিকর ইজরায়েল। ফলে যতক্ষণ না পর্যযন্ত গাজায় আটকে রাখা পণবন্দিদের ছাড়া হচ্ছে,ততক্ষষণ হামলা বন্ধ হবে না বলে জানিয়ে দেয় ইজরায়েল।

হামাসের হামলার পর ইজরায়েলের একাধিক শহর থেকে মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ, হামাসের হামলা থেকে নিস্তার পায়নি কেউ। কোথাও কোথাও মহিলাদের ধর্ষণের পর যেমন খুন করা হয়,তেমনি শিশুদের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি করে ইজরায়েলি সেনা। ফলে গত ৭৫ বছর ধরে ইজরায়েল, প্যালেস্তাইনের যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বর্তমানে। হামাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত প্রতিবেশী দেশকে কার্যত গুঁড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ইজরায়েল।

 

এদিকে গাজার দাবি, ইজরায়েলের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে গত কয়েকদিনে। আহত ৫ হাজারের বেশি। সেই সঙ্গে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে হাসপাতালগুলিতে আলো  নেই। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ সমস্ত ধরনের জরুরি পরিষেবা। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালগুলিতে বন্ধ ডায়ালিসিস। বন্ধ এক্স রে-সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা। য়ার জেরে হাসপাতালগুলি প্রাণদানের কেন্দ্র নয় মর্গে পরিণত হতে শুরু করেছে বলে জানানো হয় গাজার তরফে।

যদিও গাজা যা-ই বলুক না কেন, ইজরায়েলি পণবন্দিদের যতক্ষণ না পর্যন্ত মুক্ত করছে হামাস, ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে। খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ সবদিক থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয় ইজরায়েল সরকারের তরফে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now