Bangladesh Bans Social Media: বাংলাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে বন্ধ ফেসবুক থেকে টিকটক, কি হবে ভবিষ্যৎ
হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু নিয়ে ইনস্টাগ্রামে যে ধরনের তথ্য শেয়ার করা হলে তুরস্কের একজন আইনপ্রণেতা ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ থেকেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে এই দুই ঘটনার কোনও মিল রয়েছে নাকি ব্যাপার সম্পূর্ণ কাকতালীয় সেটি জানা যায়নি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায়, রিপোর্ট উঠছে যে সেই দেশে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির উপর সংক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। গ্লোবাল আইজ নিউজের মতে, এই পদক্ষেপটি ২ আগস্ট থেকে কার্যকর করা হয়েছে এবং কার্যকরভাবে বাংলাদেশ জুড়ে উল্লিখিত সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অ্যাক্সেস নিষিদ্ধ করেছে। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার (Ismail Haniyeh) মৃত্যু নিয়ে ইনস্টাগ্রামে যে ধরনের তথ্য শেয়ার করা হয়েছে সেই কারণে তুরস্কের একজন আইনপ্রণেতা ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশ থেকেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে এই দুই ঘটনার কোনও মিল রয়েছে নাকি ব্যাপার সম্পূর্ণ কাকতালীয় সেটি জানা যায়নি। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেশ কিছু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ফেসবুক ও মেসেঞ্জার বিভ্রাটের অভিযোগ করছেন। Instagram: বড় খবর, গোটা দেশে নিষিদ্ধ ইনস্টাগ্রাম
এদিকে বাংলাদেশি আরেক সংবাদমাধ্যম দ্য ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে, বিভ্রাটের প্রায় ছয় ঘণ্টা পর বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছেন। মোবাইল অপারেটরিং সংস্থার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের মোবাইল ডাটা পুনরায় চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এক সূত্র ঢাকা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে যে মন্ত্রণালয় একটি 'ফিল্টারিং প্রক্রিয়া' পরিচালনা করে যা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে সময় নিয়েছে। এই প্রক্রিয়ার কারণে, ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট সমস্যার সম্মুখীন হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষের ইন্টারনেটের বন্ধের সমস্যায় প্রথমবার ভুগছেনা।
৩১ জুলাই, সরকার দীর্ঘ দিনের বিরতির সাথে কারফিউতে বিধিনিষেধ শিথিল করার পরেই ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি আবার চালু করে। এর আগে, হাসিনা প্রশাসন বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির প্রস্তাব দেওয়ার পর দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিক্ষোভের কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা। দ্য ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থা মোবাইল অপারেটরদের বার্তার মাধ্যমে নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের বড় ফাইল পাঠানোর সুযোগ দেয় এমন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামকেও প্রথমবারের মতো ব্লক করা হয়।