Barnaby Joyce: মাস্ক না পরায় মোটা অর্থের জরিমানা অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রীকে, সিসিটিভিতে পড়লেন ধরা
নিয়ম সবার জন্য সমান। সে তুমি যেই হও। আমাদের দেশে সেসবের বালাই নেই ঠিকই, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যে নিয়মটা সবার জন্য এক থাকে সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। অস্ট্রেলিয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী বার্নাবাই জোয়েসকে মাস্ক না পরার অপরাধে জরিমানা করা হল।
ক্যানবেরা, ২৯ জুন: নিয়ম সবার জন্য সমান। সে তুমি যেই হও। আমাদের দেশে সেসবের বালাই নেই ঠিকই, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া (Australia) যে নিয়মটা সবার জন্য এক থাকে সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। অস্ট্রেলিয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী বার্নাবাই জোয়েস (Barnaby Joyce) কে মাস্ক (Mask) না পরার অপরাধে জরিমানা করা হল। নিউ সাউথ ওয়েথ ওয়েলশের এক পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে তেল ভরার সময় মাস্ক খুলেছিলেন অজি উপমুখ্যমন্ত্রী। এই কারণে তাঁকে ২০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৫১ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়। এখন সেই নিউ সাউথ ওয়েলশে লকডাউন চলছে, এবং কড়া করোনা বিধি লাগু আছে। আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বরকত মার্কেটে একের পর এক বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল লাহোর
করোনা সংক্রমণ থেকে এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় মাস্ক না পরার জরিমানা ২০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এত বড় পর্যায়ের মন্ত্রী হলেও নিয়ম কিন্তু নিয়মের মতই কাজ করল। অস্ট্রেলিয়া জুড়েই দীর্ঘদিন ধরেই করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক না পরলে মোটা অর্থের জরিমানা করার নিয়ম চালু আছে।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের নেতা জয়েসের এই জরিমানার কথা তাঁর দলের মুখপত্রেও ছাপা হয়েছে। জয়েস এই জরিমানা নিয়ে জানান, 'আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য পেট্রোল পাম্পে গাড়িতে তেল ভরানোর জন্য নামার সময় মাল্কটা ৩০ সেকেন্ডের জন্য ভুলবশত খুলে রাখি। আমি ওই ৩০ সেকেন্ডের ভুলেই আমার ২০০ মার্কিন ডলার জরিমানা হয়। দেশের সব নাগরিককে বলব, আমার নিউ সাউথ ওযেলশের পুলিশের পক্ষ থেকে জাননো হয়, পেট্রোল স্টেশনের এক কর্মীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে উপপ্রধানমন্ত্রীকে জরিমানা করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন জোট সরকার ক্ষমতায়। লিবারেটল পার্টি এবং ন্যাশানাল পার্টির মিলিজুলি সরকার চলছে। ন্যাশানাল পার্টির প্রধান হিসেবে জয়েস এখন উপপ্রধানমন্ত্রী পদে আছেন। ২০১৬-১৮ সালেও তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সে সময় এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় পারথের পর ব্রিসবেনেও লকডাউন ঘোষণা করা হল। আগেই সিডনি ও ডারউইন শহরে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১ কোটি অস্ট্রেলিয়বাসী লকডাউনের আওতায় আছে।