Yashwant Sinha: হেরে যাওয়ার আতঙ্কে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিজেপি: যশবন্ত সিন্হা

আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি যশবন্ত সিন্হা। তাঁদের দাবি দিল্লি থেকে সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, বিজেপির ব্যক্তিগত বৈঠক হয়। বিজেপি বৈঠকে দু'দফা নির্বাচনের ফল নিয়ে সমীক্ষা করে। বাংলায় বিজেপির ফল এতটাই দুর্বল যে তাদের না জেতার আশঙ্কাই বেশি। আগামী ছয় দফা নির্বাচনেও তা হতে পারে বলে আতঙ্কে আছে বিজেপি। আতঙ্কের কারণেই বিজেপি প্রচেষ্টা করছে তৃণমূলের নামে গুজব ছড়াতে।

যশবন্ত সিন্হা (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ৩ এপ্রিল: আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি যশবন্ত সিন্হা (Yashwant Sinha)। তাঁদের দাবি দিল্লি থেকে সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুয়ায়ী, বিজেপির ব্যক্তিগত বৈঠক হয়। বিজেপি বৈঠকে দু'দফা নির্বাচনের ফল নিয়ে সমীক্ষা করে। বাংলায় বিজেপির ফল এতটাই দুর্বল যে তাদের না জেতার আশঙ্কাই বেশি। আগামী ছয় দফা নির্বাচনেও তা হতে পারে বলে আতঙ্কে আছে বিজেপি। আতঙ্কের কারণেই বিজেপি প্রচেষ্টা করছে তৃণমূলের নামে গুজব ছড়াতে।

গতকাল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অন্য কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তে পারেন বলে জানান জে পি নাড্ডা, অমিত শাহর মত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। অমিত শাহ নিজেও বলেন, নন্দীগ্রামে তিনি হারবেন তা নিশ্চিত, তাই অন্য কেন্দ্র থেকে তিনি লড়বেন বলে অন্তর্বর্তী খবরে তাঁরা জানতে পেরেছেন। এসমস্ত খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন যশবন্ত সিন্হা এবং শশী পাঁজা। আরও পড়ুন, নন্দীগ্রামে হারছেন, তাই অন্য আসন খুঁজছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: জেপি নাড্ডা

পাশাপাশি, অসমে বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁরা যৌথ ভাবে বলেন, বাংলাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নির্বাচন শুরু থেকে স্ট্রং রুমে ইভিএম যাওয়া পর্যন্ত তা কঠোরভাবে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিজেপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবি করেন শশী পাঁজা।

গতকাল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের 'ভাঙা' পা নাচানোর ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় সাংবাদিকদের যশবন্ত সিন্হা জানান, বিজেপির এটি মিথ্যে প্রচারের অংশ, ভোটারদের প্রভাবিত করার জনই তারা এটা করছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চোট লাগার ঘটনায় চিকিৎসকেরা যুক্ত রয়েছে। এটি যদি মিথ্যে হত তাহলে খ্যাতনামা চিৎিসকেরাও কি মিথ্যে বলছেন? এটি বিজেপির মিথ্যা প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।