West Bengal Formation Day: ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হতেই স্বাধীন হল বাংলাও, তবে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে
স্বাধীনতার আগে ভারত একাধিক ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশ ও নামমাত্র স্বায়ত্ত্বশাসিত দেশীয় রাজ্যে বিভক্ত ছিল। দেশীয় রাজ্যগুলিও ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শক্রমে শাসিত হতো।
বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান
কিন্তু এই সমগ্র বাংলাকে ভেঙ্গেই প্রতিষ্ঠা পায় অধুনা পশ্চিমবঙ্গের। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদ একটি বৈঠকের আয়োজন করে। যেখানে বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রীভূত হবে, নাকি ভারতের সঙ্গে একত্রীভূত থাকবে, না বিভক্ত হবে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা হবে পশ্চিমবঙ্গ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে বাংলাদেশ? তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক এবং আলোচনার পর বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার এবং পশ্চিমবঙ্গের ভিত্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকেই এই দিনটিকে "পশ্চিমবঙ্গ দিবস" হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার আগে ভারত একাধিক ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশ ও নামমাত্র স্বায়ত্ত্বশাসিত দেশীয় রাজ্যে বিভক্ত ছিল। দেশীয় রাজ্যগুলিও ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শক্রমে শাসিত হতো। দেশভাগের পর এই প্রশাসনিক বিভাগগুলির কয়েকটি পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর বাদবাকি প্রদেশ ও রাজ্যগুলি ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গও সেই সময় থেকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
আধুনিক বাংলা অর্থাৎ ষোড়শ শতাব্দীর পর বাংলা ব্রিটিশ কোম্পানির দখলে ছিল। পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা আইনত ভারতের অধিকার হাতে নিয়ে নেয় এবং বাংলার শাসক হয়ে ওঠে। ভারতে আগমনের সাথে সাথে ব্রিটিশ শাসকরা ডিভাইড এন্ড রুল নীতি গ্রহণ করেন, যার ফলশ্রুতিতে ১৯০৫ সালে লর্ড ডালহৌসি বঙ্গভঙ্গ করেছিলেন। এরপর ১৯১১ সালে বাংলার জনগণের উদ্যোগে বাংলা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। তবে বঙ্গ ভঙ্গের সেই স্মৃতিকে উসকে দিয়ে ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের মাঝে পড়ে আবারও বাংলাকে দুটি ভাগে ভাগ করতে হয়েছিল। হয়তো এই ভাগ এখনো মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি অধিকাংশ বাঙ্গালির পক্ষে।