JP Nadda: বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই, আরজি কর কাণ্ডে বললেন নাড্ডা
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতন ও হত্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতন ও হত্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। "আরজি করে জুনিয়র মহিলা ডাক্তারে সঙ্গে যা হয়েছে তা ভারতের মত গোটা দুনিয়াকে স্তম্ভিত দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও শোকপ্রকাশ করছি।"নাড্ডার অভিযোগ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার এই ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়।
বাংলায় আর কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই বলেও দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডার দাবি, বাংলায় আইনশৃঙ্খলাহীনতা তুঙ্গে উঠেছে। বাংলায় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও সেখানে মহিলাদের ওপর নৃশংসতা, অত্যাচার বাড়ছে, এটা আরও উদ্বেগের বলে জানান নাড্ডা।
আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি। সিবিআই তদন্তে আরজি কর কাণ্ডের সব সত্যি বেরিয়ে আসবে, দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন গত দু দিন ধরে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে, এবং তিনি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বাংলার এই কাণ্ডের যাতে ফের না ঘটে তার জন্য অবশ্যই প্রতিষেধক বের করবেন, এবং এর জন্য যা দরকার তা করবে সরকার। আরও পড়ুন-মমতার ফিজিও বকলমে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সামলান, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
দেখুন ভিডিয়ো
গত ৯ অগাস্ট আরজিকর হাসপাতালের (R.G. Kar Hospital) সেমিনার রুমে রাতের অন্ধকারে নারকীয় অত্যাচার চালানো হয় এক ট্রেনি চিকিৎসকের উপর (Kolkata Doctor Death)। ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে বিক্ষভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভের আঁচ পড়ে গোটা দেশজুড়েও।
আরজিকর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে গোটা দেশের একাধিক সরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করে ফেডেরেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (FAIMA)। যার জেরে আরজিকর-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখাতে আসা বহু রোগীকে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।