TMC MP Arjun Singh: বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে নিজের দলের নেতা-নেত্রীদেরই কটাক্ষ অর্জুন সিং-এর! দেখুন কী বললেন ব্যারাকপুরের সাংসদ

বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে নিজের দলের নেতা-নেত্রীদেরই কটাক্ষ অর্জুন সিং-এর!

Photo Credits: IANS

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিভিন্ন নেতা-নেত্রী বর্তমানে নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেলে বন্দি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজের দলের নেতৃত্বকেই কটাক্ষ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ অর্জুন সিং (Trinamool Congress MP Arjun Singh)। এপ্রসঙ্গে শনিবার তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির (central agencies) বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইলে অন্তত একজনের সঠিক পথে (right direction ) থাকা উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। তৃণমূলে সৎ নেতা-নেত্রী খোঁজার চেষ্টা করা মানে খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মতন বলে উল্লেখ করেন তারা।"

উত্তর ২৪ পরগনার জেলার (North 24 Parganas district) ব্যারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্জুন সিং বলেন, "যদি কারও কারও কাজের কারণে পুরো দল বিব্রত হয়। তাহলে সেই ব্যক্তিদের দল থেকে বহিষ্কার করাই ভালো। কারণ দুর্নীতিগ্রস্তদের দলে রাখা হলে তা জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।  যদি সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের দলের সামনের সারিতে রাখা হয় তাহলে সাধারাণ মানুষের মনে পুরো তৃণমূল দল সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হবে। যার প্রভাব পড়বে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে। তাই এখন থেকেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অর্জুন সিং এমন সময়ে এই মন্তব্য করেছেন যখন মন্ত্রী ও বিধায়ক-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক হেভিওয়েট নেতারা বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বিচারবিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে। শনিবার দুর্নীতিগ্রস্ত দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলে ব্যারাকপুরের সাংসদ অবশ্য নিজের মুখে কারও নাম করেননি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অর্জুন সিং বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় জড়িত দলীয় নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।

গত অগাস্টে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, "সিবিআই বা ইডি বাজেয়াপ্ত করার আগে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের উচিত নিজেদের কাছে থাকা অর্থ যতটা সম্ভব খরচ করে ফেলা। অর্জিত অর্থ সংরক্ষণ করা আবশ্য়ক নয়। আপনি যদি খুব বেশি সঞ্চয় করেন তবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে। তাই এই ধরনের টাকা যতটা সম্ভব ব্যয় করা ও বিতরণ করা উচিত।" আরও পড়ুন: Chandni Chowk: দীপাবলির আগের দিন সকালে কলকাতার চাঁদনী চক মার্কেটের বহুতলে আগুন, চাঞ্চল্য