RG Kar Accused: আরজি করে খুনের পর আস্তানায় ফিরে 'শান্তির' ঘুম, ধৃত সঞ্জয়কে নিয়ে দানা বাঁধছে একাধিক রহস্য
ঘুম থেকে উঠে জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করে সে। তবে রক্তের দাগ রয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তের জুতোয়। রক্তের ছোপ দাগা সেই জুতো এবং জামা পরবর্তীকালে তল্লাশির সময়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। পুলিশি জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে সে। কিন্তু এমন ঘৃণ্য অপরাধের জন্যে তার মধ্যে কোন অনুতাপ নেই বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর শুক্রবার ভোরে নিজের আস্তানায় ফিরে সোজা ঘুমিয়ে পড়ে মদ্যপ সঞ্জয়। ঘুম থেকে উঠে জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করে সে। তবে রক্তের দাগ রয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তের জুতোয়। রক্তের ছোপ দাগা সেই জুতো এবং জামা পরবর্তীকালে তল্লাশির সময়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় অর্ধনগ্ন চিকিৎসকের দেহ। তাঁর শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন। ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, অভিযুক্ত গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে। এত অল্প সময়ের মধ্যে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ এবং মাথ থেকে পা পর্যন্ত একাধিক আঘাত করা একজন ব্যক্তির পক্ষে কীভাবে সম্ভব, সেই রহস্যের কিনারা করে চলছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল।
মৃতা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে একজন অপরাধীর তত্ব কিছুতেই মেলাতে পারছে না কলকাতা পুলিশ। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল তরুণীকে। তাঁর মাথা, চোখ, মুখ, পেট, বুক, পা সব মিলিয়ে শরীরে বহু ক্ষতের দাগ মিলেছে। এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, মদ্যপ অবস্থায় ভোট ৪টের দিকে আরজি করে প্রবেশ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঠিক ৩৫ মিনিট পর বেরিয়ে যায় সে। হাসপাতাল চত্বরে বসে ধৃত মদ্যপান করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এরপর বাইক চেপে নিজের আস্তানায় ফিরেছে সঞ্জয়। কিন্তু ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে একা সঞ্জয়ের পক্ষে এত বড় অপরাধ ঘটানো কেমন ভাবে সম্ভব? উঠছে সেই প্রশ্ন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, সঞ্জয় একা নয়, এই ঘটনায় তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে।