Kolkata: পোস্তর দাম আড়াই হাজার ছুঁইছুই! আর কী খাবো বলে কপাল চাপড়াচ্ছে বাঙালি
পাতে একটু পোস্ত থাকলে বাঙালির জমে যায়। ঝিঙে পোস্ত, পোস্ত বড়া, আলু পোস্ত হলে তো কথাই নেই। তবে পোস্তর দাম শুনেই ছ্যাঁকা লাগছে, কেনা তো দূর অস্ত।
কলকাতা, ১৯ জুলাই: পাতে একটু পোস্ত (Poppy) থাকলে বাঙালির পাত পুরো জমে যায়। ঝিঙে পোস্ত, পোস্ত বড়া, আলু পোস্ত হলে তো কথাই নেই। তবে পোস্তর দাম শুনেই ছ্যাঁকা লাগছে, কেনা তো দূর অস্ত। তিন মাসে পোস্তর দাম অনেকটাই বেড়েছে। দামের ছ্যাঁকায় পোস্ত কেনা ভুলতে বসেছেন ভোজনপ্রিয় বাঙালি। সোমবার কলকাতার বাজারে এক কিলো পাইকারি পোস্ত ২২৭৫ টাকা। খুচরো বাজারে যা ২৪০০ টাকা কিলো।
তার মানে মাঝারি মাপের ১২-১২টি পোস্ত বড়া ভাজতে সংসার খরচ থেকে আড়াইশো টাকা বেরিয়ে যাবে। এর সঙ্গে থাকবে তেল ও গ্যাসের খরচ। ফলে দামের চাপে বাজারের ফর্দ থেকে বাদ পড়েছে পোস্ত।
পোস্তর দামে এই আগুনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতিকে দায়ী করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে পেট্রোলের দাম। এবার পোস্তর দাম কেজিতে দু হাজার ছাড়িয়ে, আড়াই হাজারে ঢুকতে চলেছে। বাংলায় প্রতি মাসে পোস্তর চাহিদা ৪০ মেট্রিক টন। রাজস্থানের পোস্ত স্বাদে, গুনে অতুলনীয়। তাই রাজস্থানের পোস্তের চাহিদা সবচেয়ে। বাংলায় আসা ৪০ মেট্রিক টনের মধ্যে রাজস্থান থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ পোস্ত আমদানি করে। ১০ শতাংশ আসে মধ্যপ্রদেশ থেকে, ১০ শতাংশ আসে গুজরাট থেকে। ৫ শতাংশ আসে উত্তরপ্রদেশ থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আসে। এরমধ্যে তুরস্ক থেকে ২৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ১০ শতাংশ পোস্ত আসে। বাংলায় পোস্ত উৎপাদন হয় না।