NRS Hospital Row:‌ রাজ্যের সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ, নাকাল রোগীরা

নআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হলেন সিনিয়র ডাক্তাররাও।

NRS এ বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা( Photo Credit-ANI)

কলকাতা, ১২ জুন, ২০১৯:‌  এনআরএসের(NRS Hospital) জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল মৃতের পরিবার। এন্টালি থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে জোড়া এফআই। অভিযোগ মৃতের এক প্রতিবেশীকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে। পাশাপাশি ওই জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন এক চিত্রসাংবাদিকও। তবে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা।

এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর চিকিৎসা(Outdoor) পরিষেবা। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছে ‘ডক্টরস ফোরাম’।এমার্জেন্সি বিভাগ শুধুমাত্র খোলা রাখা হয়েছে। সকাল নটা থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ রয়েছে। এর জেরে হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে বহু রোগীকে। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের আইটডোরে ভিড় করতে শুরু করেছেন রোগীরা। কিন্তু তাঁদের কোনও টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।

সোমবার রাতে নীলরতন সরকার হাসপাতলে ভর্তি করা হয় বছর আশির মহম্মদ শাহিদকে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এদিন বিকেলের পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করলেও তাঁরা সময় মতো আসেন নি। পরিবারের কথায়, চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয় মহম্মদ শাহিদের। এরপরই ট্রাকে করে হাসপাতাল চত্বরে লোক ঢুকিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মাথা ফেটে যায় পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র ডাক্তারের। এরপরই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দেন। কর্মবিরতিতে সামিল হন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।আরও পড়ুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকতে বাংলা থেকে বাঙালি খেদানো সম্ভব নয়, বিজেপিকে হুঁশিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবারই হাসপাতালে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাসের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা বৈঠক করেন করেন মন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের মদতেই ডাক্তারদের মারধর করা হয়েছে।