Mahesh Rathayatra: করোনার মাঝে কেমন চলছে মাহেশের রথযাত্রা
করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে এবার মাহেশের রথযাত্রায় কোনও জাঁকজমক করা হল না। লকডাউনে থাকা রাজ্যে লোকে লোকারণ্য থাকার তো কোনও প্রশ্নই নেই। হুগলির মাহেশের রথে এবার সব নিয়ম-রীতি পালন হচ্ছে। নিয়ম মেনে বৈদিক মতে পূজা অর্চনা চলেছে।
কলকাতা, ১২ জুলাই: করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে এবার মাহেশের রথযাত্রায় (Mahesh Rathayatra) কোনও জাঁকজমক করা হল না। লকডাউনে থাকা রাজ্যে লোকে লোকারণ্য থাকার তো কোনও প্রশ্নই নেই। হুগলির মাহেশের রথে এবার সব নিয়ম-রীতি পালন হচ্ছে। নিয়ম মেনে বৈদিক মতে পূজা অর্চনা চলেছে। তবে রাজপথে গড়াচ্ছে রথের চাকা। ভিড়, জমায়েত এড়াতে উৎসব অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেখানও নানা বিধিনিষেধ। দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথে এ বারে স্নানযাত্রা উৎসব মন্দির প্রাঙ্গণে হল। এবার ভক্ত সমাগম খুবই কম। যাঁরা পুজো দিতে আসছেন, তাঁদের এক এক করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে মন্দিরে, করোনা বিধি মেনেই। পুজো দেওয়া হয়ে গেলে মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়তে মাইকে ঘোষণা হয়। আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথদেবের কাছে কী চাইলেন মমতা
সকাল নটায় ভোগ নিবেদনের পর গর্ভগৃহ থেকে মন্দিরের চাতালে বের করা হয়েছে জগন্নাথদেবকে। সেখানেই পুজো চলেছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্নানযাত্রা। তার পরে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ছিল মন্দির। আজ রথের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ মাসির বাড়ি যাবে না। তার বদলে নারায়ণ শিলা নিয়ে যাওয়া হল। বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানী উপন্যাসে মাহশের রথের মেলার গল্প রয়েছে। মার্টিন বার্ন কোম্পানীর তৈরী ১২৫ টন ওজনের রথে লোহার বারোটি চাকা রয়েছে। সেই চাকা গড়াতে বহু মানুষ দড়ি ধরে টান দেন। তবে গতবারের মত এবারও করোনা সতর্কতায় এবার রথের চাকা গড়ালো না।
মন্দির থাকার মাঝে কিছু ভক্ত এসে তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা করছেন। মাস্ক পরে, স্যানিটারজার হাতে দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত। সোমবার রথের দিন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ মাসির বাড়ি যাবে না। তার বদলে নারায়ণ শিলা নিয়ে যাওয়া হবে।
বিকাল চারটের সময় রথের চারিদিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করে দামোদর হবে, তারপর নারায়ণ শিলা নিয়ে যাওয়া হয়। মাসির বাড়িতে। তার আগে অবশ্য তিন বিগ্রহ মন্দিরে পিছনের ধ্যান ঘরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী এই জগন্নাথ মন্দির ও রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন ৬২৫ বছর আগে।