Park Circus Firing: তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আত্মঘাতী চোদুপ লেপচা, মনে করছে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা

ভর দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাসে বাংলদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি (Park Circus Firing) চলেছে। এই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন এক মহিলা। তাঁকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন একজন পুলিশকর্মী। প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ার পর নিজের গলা লক্ষ্য করে ট্রিগার চালিয়ে দেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর নাম চোদুপ লেপচা (Chodup Lepcha) বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, চোদুপ লেপচা তীব্র মানসিক অবসাদে (Acute Mental Depression) ভুগছিলেন বলে মনে হচ্ছে।Park Circus Firing: তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আত্মঘাতী চোদুপ লেপচা, মনে করছে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা

Image used for representational purpose (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ১০ জুন: ভর দুপুরে কলকাতার পার্ক সার্কাসে বাংলদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি (Park Circus Firing) চলেছে। এই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন এক মহিলা। তাঁকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন একজন পুলিশকর্মী। প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ার পর নিজের গলা লক্ষ্য করে ট্রিগার চালিয়ে দেন ওই পুলিশকর্মী। তাঁর নাম চোদুপ লেপচা (Chodup Lepcha) বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, চোদুপ লেপচা তীব্র মানসিক অবসাদে (Acute Mental Depression) ভুগছিলেন বলে মনে হচ্ছে।

কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠির (Praveen Kumar Tripathi) মতে, উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ের বাসিন্দা চোদুপ লেপচা। তিনি কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের পঞ্চম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। ত্রিপাঠী বলেন, "সম্ভবত তিনি তীব্র মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিল। তবে, তিনি নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন এবং সেই বিষণ্ণতা থেকে আত্মহত্যা করেছেন কি না তা প্রমাণ করার জন্য আরও তদন্তের প্রয়োজন।" আরও পড়ুন: Park Circus Firing: পার্কসার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা, আত্মঘাতী পুলিশকর্মী

এদিকে, নির্বিচারে গুলি চালানোর কারণে যে মহিলা বাইক আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন, তিনি হলেন কলকাতার পার্শ্ববর্তী হাওড়া জেলার দাসনগরের বাসিন্দা রীমা সিনহা। অন্য দু'জন ব্যক্তিও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন এবং তাদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা দু'জনই এখন বিপদমুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন ত্রিপাঠী।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লেপচা বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশ বাহিনীতে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, "লেপচা তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে তাঁর মানসিক বিষণ্নতার কথা জানিয়েছিলেন, তবে তার কারণ কী সেটা জানাননি।" জানা গেছে যে লেপচা সম্প্রতি ছুটির পরে আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পার্ক সার্কাসের কাছে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের বাইরে ফাঁড়িতে তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হয়।

এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা সত্ত্বেও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা দুটি কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। প্রথমটি হল বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসের দিকে তাক করে গুলি চালাননি লেপচা। এমনটা হলে পরিস্থিতি সব দিক থেকে খুবই খারাপ হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত, পার্ক সার্কাস এলাকায় সেই সময় ভিড় কম ছিল। পার্ক সার্কাস ক্রসিং এবং সংলগ্ন লোয়ার রেঞ্জে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় কম ছিল। অন্যথায়, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত।