Kolkata Doctor Rape-Murder: মৃতা চিকিৎসকের সুবিচারের পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ দাবিতে সোচ্চার, সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা
প্রথমেই দাবি জানানো হয়েছে, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ দোষীদের চিহ্নিত করে সাজা দেওয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিবিআইকে দোষীদের নাম ঘোষণা করতে হবে।
কর্তব্যরত জুনিয়র তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের (Kolkata Doctor Rape-Murder) ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের পাশাপাশি দেশজুড়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন টলি থেকে বলি, শিল্প জগতের তারকারাও। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের (RG Kar) মৃতা চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সোচ্চার হল আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে সেই সমস্ত দাবি তুলে ধরা হয়। প্রথমেই দাবি জানানো হয়েছে, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সহ দোষীদের চিহ্নিত করে সাজা দেওয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিবিআইকে দোষীদের নাম ঘোষণা করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি, আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের ডিন, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের এইচওডি, ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা সহকারী সুপার সাপোর্ট সহ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়ছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, কর্মজীবনের অবশিষ্ট সময়কালের মধ্যে তাঁরা কেউ যেন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রশাসনিক বা কর্তৃত্বমূলক পদে না বসেন।
তৃতীয়ত, আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত ঘিরে স্বাস্থ্যভবনের কাছে ব্যাখা দাবি করেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
চতুর্থ দাবি, অর্থের বিনিময়ে সন্তান হারানোর শোক কখনও ভুলবেন না তাঁর বাবা-মা। কিন্তু তা সত্ত্বেও মৃতা চিকিৎসকের পরিবারকে আজীবন সহায়তা এবং অবিলম্বে রাজ্য সরকার কর্তৃক পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করার ঘোষণা করা হোক।
পঞ্চম দাবি, হাসপাতাল, হাসপাতাল চত্বর, হোস্টেল, হোস্টেলের বাইরে সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হোক। উপযুক্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা, পুরুষ এবং নারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ সহ কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।
ষষ্ঠ দাবি, নির্যাতিতা জুনিয়র চিকিৎসকের ছবি এবং নাম যে হারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সব শেষে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী হামলা এবং সেই হামলা প্রতিরোধে পুলিশের লজ্জাজনক ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, তালা-এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং উত্তর কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দবি জানিয়েছেন আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।