Dipendu Biswas: সোনালির পথেই ফের তৃণমূলের হয়েই গোল করতে চেয়ে দিদিকে চিঠি দীপেন্দুর
সোনালি গুহের (Sonali Guha) কায়দাতেই বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার-প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। সোনালির মতই তাঁকে দল ছাড়ার পুরস্কারে টিকিট দেয়নি পদ্ম শিবির। এবার ভোট মিটতেই সোনালি গুহর মতই দিদিকে চিঠি লিখে আবার তৃণমূলেই ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন দীপেন্দু।
কলকাতা, ৩১ মে: সোনালি গুহের (Sonali Guha) কায়দাতেই বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার-প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। সোনালির মতই তাঁকে দল ছাড়ার পুরস্কারে টিকিট দেয়নি পদ্ম শিবির। এবার ভোট মিটতেই সোনালি গুহর মতই দিদিকে চিঠি লিখে আবার তৃণমূলেই ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন দীপেন্দু। এর আগে অবশ্য নারদা ইস্যুতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে প্রতিহিংসার ইস্যুতে ক দিন আগেই বিজেপি ছেড়েছিলেন দীপেন্দু। তবে এরপর রাজনীতিতে সন্ন্যাস না নিয়ে দিদির দলেই ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন দীপেন্দু। আরও পড়ুন: ভাল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে শুনলেন খবর
যে দীপেন্দু বসিরহাট দক্ষিণে বিজেপির শমিক ভট্টাচার্যের কাছে ২০১৪ উপ নির্বাচনে হারের, দু বছর পর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসেছিলেন। দীপেন্দু দিদির শিবিরে ফেরার ইচ্ছপ্রকাশ করায় ভোটের আগে দলত্যাগিদের তৃণমূলে ফেরার নামের তালিকাটা আরও দীর্ঘ হল। মমতার কাছে চিঠিতে দীপেন্দু লেখেন, "অভিমানে ভুল করে আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী'। সোনালি, দীপেন্দু-দের মত দলত্যাগিদের দলে ফিরতে চাওয়া নিয়ে তৃণমূল এবার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
সাদা কাগজে লেখা চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দীপেন্দু লেখেন,' প্রথমেই আমার প্রণাম নেবেন। আপনার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত মাননীয় সুব্রত বক্সী (দার) হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিক হিসেবে আগামী দিনে উন্নত বাংলা গড়তে সামিল হতে চাই"।
বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জিতলেও, এবার দীপেন্দুকে প্রার্থী করেনি তৃণমূলে। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে বিজেপিতে যোগ দিয়েও লাভ হয়নি এক সময় কলকাতা ময়দান কাঁপানো তারকা এই ফুটবলার। এবার দীপেন্দুর পরিবর্তে সপ্তর্ষি ব্যানার্জিকে প্রার্থী করে এই আসন ধরে রাখে তৃণমূল। অন্যদিকে, দীপেন্দুকে টিকিট না দিয়ে এই কেন্দ্রে তারকনাথ ঘোষকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ক্লাব ফুটবলের ট্র্যাডিশনটা রাজনীতিতে এসেও বজায় রাখলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ক্লাব ফুটবলে যেমন দলবদল করে জার্সি বদলানোটা খেলার অঙ্গ রাজনীতিতেও সেটা সমান প্রযোজ্য দীপেন্দু সেটা আমার বুঝিয়ে দিলেন।