West Bengal: ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছেন, পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন কালনার বৃদ্ধ

নতুন বছরে সুখবর, বাজারে গিয়েছিলেন, হঠাৎ মনে হল ৬০ টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির টিকিট কেটে ফেলেন পূর্ববর্ধমানের কালনা (Kalna) থানার সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্র নারায়ণ সেন। বছর ৭০-এর ইন্দ্রবাবু পেশায় ছিলেন গভীর নলকূপের অপারেটর। ১০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন। মাস গেলে ১০ হাজার টাকা পেনশন পান। সংসারে স্ত্রী ছাড়াও তিন ছেলে বউমা ও নাতিরা রয়েছে। এমনই কাটা লটারির (lottery) টিকিট যে তাঁর ভাগ্য বদলে দিতে পারে বুঝতে পারেননি ইন্দ্রবাবু। রবিবার যখন জানতে পারলেন তিনি ভাগ্যের খেলায় জিতে গিয়েছেন, প্রথমটায় বিশ্বাস হয়নি।

কালনা, ৩ জানুয়ারি: নতুন বছরে সুখবর, বাজারে গিয়েছিলেন, হঠাৎ মনে হল ৬০ টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারির টিকিট কেটে ফেলেন পূর্ববর্ধমানের কালনা (Kalna) থানার সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্র নারায়ণ সেন। বছর ৭০-এর ইন্দ্রবাবু পেশায় ছিলেন গভীর নলকূপের অপারেটর। ১০ বছর আগে অবসর নিয়েছেন। মাস গেলে ১০ হাজার টাকা পেনশন পান। সংসারে স্ত্রী ছাড়াও তিন ছেলে বউমা ও নাতিরা রয়েছে। এমনই কাটা লটারির (lottery) টিকিট যে তাঁর ভাগ্য বদলে দিতে পারে বুঝতে পারেননি ইন্দ্রবাবু। রবিবার যখন জানতে পারলেন তিনি ভাগ্যের খেলায় জিতে গিয়েছেন, প্রথমটায় বিশ্বাস হয়নি। তবে যখন জানলেন সত্যি সত্যিই ১ কোটি টাকা (1 crore) তিনি পেতে চলেছেন, তখন বেশ ভয় পেয়ে গেলেন।

যেকোন মুহূর্তে ডাকাতি হতে পারে, আক্রান্তও হতে পারেন। তাই টিকিট নিয়ে সোজা কালনা থানায় হাজির হলেন। দেখা করলেন দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তা রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে নিজের সমস্যার কথা জানালেন। পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে কোনওরকমের সমস্যা হলেই যেন ইন্দ্রবাবু তাঁকে ফোন করেন। ফোন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থানা থেকে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কালনার এসবিআই ব্যাংকে গিয়ে টিকিটটি জমা করেছেন ওই বৃদ্ধ। তিন মাসের মধ্যে জিতে নেওয়া এক কোটি টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাবে। তবে এত টাকা এক সঙ্গে পেয়ে তিনি কী করবেন তা ঠিক করে ফেলেছেন, কিছু টাকা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে দুর্গামন্দির তৈরি করিয়ে দেবেন। কেননা তাঁর মনে হয় স্ত্রী ভাগ্যেই এই ধন ছিল। বিভিন্ন মন্দিরে দক্ষিণা দেবেন। বাকি টাকা তিন ছেলে ও নাতির ভবিষ্যতের জন্য সমান ভাগে ভাগ করে দেবেন। নিজেদের অর্থাৎ ওই দম্পতির এই টাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি মাস গেলে ১০ হাজার টাকা পেনশন পান। তাতেই তাঁদের চলে যাবে। আরও পড়ুন-Calcutta High Court:সন্ধ্যা নামতেই উধাও আনন্দ, হাইকোর্টে খারিজ ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোট

তিনি বলেন, গুপ্তিপাড়া বাজারে মিন্টু বিশ্বাসের দোকান থেকে ৬০ টাকা দিয়ে নাগাল্যান্ড রাজ্য লটারি কাটার পর। পকেটেই ছিল টিকিট, তিনি একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিলেন। পরে মিন্টু বিশ্বাস লটারির ফলাফল বেরলে ইন্দ্রবাবুর খোঁজ শুরু করেন। প্রায় সবাইকেই জানিয়ে দেন যে তিনি ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছেন। সারা পাড়া খবর রটার পর ইন্দ্রবাবুর বাড়িতে এসে মিন্টু বিশ্বাস যখন খবর দেন তখন তিনি বিশ্বাস করেননি। পরে ফলাফলের টিকিটের প্রিন্ট কপি দেখালে তাঁর বিশ্বাস হয়। ইন্দ্র নারায়ণ সেন জানান, “অবসরের সময় অফিস থেকে এল লক্ষ টাকা পেয়ে ভয় হয়েছিল। এবার লটারিতে এক কোটি টাকা জিতলাম, ভয় তো হবেই।”