Dilip Ghosh On Debendra Nath Ray Death: হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শেষ দেখে ছাড়ার হুমকি দিলীপ ঘোষের

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বিন্দোল এলাকায় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendra Nath Ray) দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দল, পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি খুনের পর বিজেপি বিধায়ককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দিলীপ ঘোষ(Photo Credit-ANI)

কলকাতা, ১৩ জুলাই: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) হেমতাবাদে (Hemtabad) বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বিন্দোল এলাকায় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের (Debendra Nath Ray) দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দল, পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি খুনের পর বিজেপি বিধায়ককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গোটা বিষয়টিতে বিরোধীদের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন মানুষ যেন নিশ্চিন্তে রাজ্যে বসবাস করতে পারেন তার পরিসর তৈরি করে দেন। পাশাপাশি একের পর এক বিজেপি কর্মীদের হত্যার নিন্দা করেছেন। আত্মহত্যা করলে হাত বাঁধা কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুরুলিয়ার কায়দায় বিধায়ক খুন হয়েছে, বলে দাবি করেন তিনি। বারবার বিজেপি নেতা-কর্মী হত্যায় শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানান। আরও পড়ুন, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগে গেরুয়া শিবিরে চাঞ্চল্য

রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েত এলাকার বালিয়া গ্রামে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি। সেখান থেকে ১ কিলোমিটার দূরে একটি বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার করা হয় বিজেপি বিধায়কের হাত বাঁধা ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খুনের তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনবারের প্রধান দেবেন্দ্রনাথবাবু ২০১৬ সালে সিপিএমের টিকিটে হেমতাবাধ থেকে জয়ী হয়েছিলেন। পরোপকারী ও দিলখোলা মানুষ হিসেবেই এলাকায় তাঁর পরিচিতি ছিল। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। রায়গঞ্জের সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি বলেন,”দেবেনবাবুর মৃত্যু যথেষ্ট সন্দেহজনক। হাত বাঁধা অবস্থায় কখনই একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারেন না। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করুক।”