Delhi Govt To Use Plasma Technique: করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীর চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ দিল্লিতে

করোনাভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য দিল্লিতে প্লাজমা থেরাপির (Plasma therapy) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। আজ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল (Lt Governor Anil Baijal) একথা জানিয়েছেন। COVID-19 থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কোনও ব্যক্তির প্লাজমা অর্থাৎ রক্তরস গুরুতর অসুস্থদের উপর শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ, তা শক্তিশালী অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেই প্লাজমা নিয়ে অসুস্থরা দ্রুত সেরে উঠতে পারেন। কারণ, জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছিল, করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের গবেষণা চলছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেলেই মানুষের উপরে ট্রায়াল শুরু হবে। আইসিএমআরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণা প্রায় শেষ পর্যায়ে।

(Photo Credits: Pixabay)

নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল: করোনাভাইরাসে (COVID-19) আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য দিল্লিতে প্লাজমা থেরাপির (Plasma therapy) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। আজ দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল (Lt Governor Anil Baijal) একথা জানিয়েছেন। COVID-19 থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কোনও ব্যক্তির প্লাজমা অর্থাৎ রক্তরস গুরুতর অসুস্থদের উপর শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ, তা শক্তিশালী অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সেই প্লাজমা নিয়ে অসুস্থরা দ্রুত সেরে উঠতে পারেন। কারণ, জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছিল, করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের গবেষণা চলছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেলেই মানুষের উপরে ট্রায়াল শুরু হবে। আইসিএমআরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গবেষণা প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই থেরাপি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত অনেকদিন আগেই নিয়েছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) । বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ সারিয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন যে ব্যক্তি তাঁর রক্তরস ভাইরাস-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনকে আটকাতে যে ধরনের অ্যান্টিবডি দরকার সেটা তৈরি হয়েছে রক্তরসে। কাজেই সেই সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্তরস যদি প্রয়োগ করা যায় (Blood Plasma Transfution) আক্রান্তের শরীরে, তাহলে সেই অ্যান্টিবডিকে হাতিয়ার করেই রোগীর দেহকোষ লড়াই চালিয়ে যাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে 'হটস্পট', 'নন হটস্পট' ও 'গ্রিন জোনে ভাগ দেশ

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১,৯৩৩। মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৩৯২। করোনাভাইরাসকে রুখতে ও লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে সারা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের সমস্ত জেলাকে 'হটস্পট জেলা', 'নন হটস্পট জেলা' ও 'গ্রিন জোন জেলায়' ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল। যে জেলাগুলিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেই জেলাগুলি হটস্পট জেলা হিসাবে বিবেচিত হবে। একইভাবে, তুলনায় কম আক্রান্ত যে জেলাগুলিতে হয়েছে সেগুলি নন হটস্পট জেলা হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে যে সব জেলাগুলিতে কোনও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি সেই জেলাগুলি গ্রিন জোন হিসাবে বিবেচিত হবে।