Cyclone Yaas Update: শুরু হয়েছে বৃষ্টি-হাওয়া, কাল কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। বেলা কিছুটা গড়াতেই বিক্ষিপ্তভাবে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার কিছু কিছু অংশে শুরু হয় বৃষ্টি। দুপুর গড়াতেই শহরের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির গতি বাড়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে হাওযার বেগ। '
কলকাতা, ২৪ মে: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। বেলা কিছুটা গড়াতেই বিক্ষিপ্তভাবে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার কিছু কিছু অংশে শুরু হয় বৃষ্টি (Rain)। দুপুর গড়াতেই শহরের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির গতি বাড়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে হাওযার বেগ। 'য়াস' (Cyclone Yaas) যত বেশি স্থলভাগের দিকে কাছাকাছি চলে আসবে, ততই ঝড়বৃষ্টির গতিবেগ বাড়বে। তবে সাইক্লোস'য়াস' শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলারসাগরদ্বীপ ও ওড়িশার পারাদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। মঙ্গলবার থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। কাল, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আরও পড়ুন: সাদা, কালোর পর এবার আরও মারাত্মক ইয়েলো ফাঙ্গাসের হানা, আক্রান্ত উত্তরপ্রদেশের ১
ঘূর্ণিঝড় 'য়াস' (Cyclone Yaas) এখন পরিণত গভীর নিম্নচাপে। ঠিক এমনটাই পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়াবিদদের। এবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস উত্তর ও উত্তর- পশ্চিম দিকে আরও এগোতে থাকবে য়াস। আজ, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আরও শক্তি বাড়াবে এই সাইক্লোন। তারপর বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়বে 'য়াস'। গত কয়েক ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য উপকূলে শক্তি বৃদ্ধি করেছে এই 'য়াস'।
ঘূর্ণিঝড় 'য়াস' (Cyclone Yaas) নিয়ে চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন। আতঙ্কে রাজ্যবাসী। সমস্তরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। আজ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, "আম্ফানের থেকেও বড় ঝড় হতে চলেছে 'য়াস'। ৭২ ঘণ্টা দুর্যোগ থাকবে। কিন্তু এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "৪০০০ ত্রাণশিবির তৈরি করা হয়েছে। ত্রাণশিবির গুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবনটা অনেক বড়। সাবধানে থাকুন। মৎস্যজীবীদের বলছি, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না। জীবন অনেক দামী। আপনি বাঁচলে আপনার সংসার বাঁচবে। ৫১টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যে ৪ হাজার সাইক্লোন শেল্টার হোম তৈরি হয়েছে।"
"বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় এক হাজারটি দল প্রস্তুত আছে। ১০ লক্ষ মানুষকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আম্ফানের সময়ও বলা হয়েছিল আর্থিক সাহায্য করা হবে। রাজ্যের টাকা থেকেই রাজ্যকে সাহায্য করা হয়েছিল। আমরা কেন বারবার বঞ্চিত হব? সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সরকারের সব এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি আছি", বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।