Mamata Banerjee on Cyclone Amphan: 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা', প্রবল দুর্যোগে বুধবার কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অমিত শাহের সঙ্গে আজ তাঁর বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই দুর্যোগ চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে নিষেধ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি সমস্ত সাহায্য করবেন বলে জানান। কাউকে আগামীকাল বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি খোলা হয় হেল্পলাইন নম্বর। কন্ট্রোল রুম নম্বর - ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫ এবং ঘূর্ণিঝড় টোল-ফ্রি নম্বর ১০৭০ জানিয়ে দেন তিনি।

Mamata Banerjee. Photo Source: ANI/Twitter

কলকাতা, ১৯ মে: ঘূর্ণিঝড় আমফান (Cyclone Amphan) নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। অমিত শাহের সঙ্গে আজ তাঁর বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই দুর্যোগ চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে নিষেধ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি সমস্ত সাহায্য করবেন বলে জানান। কাউকে আগামীকাল বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি খোলা হয় হেল্পলাইন নম্বর। কন্ট্রোল রুম নম্বর - ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫ এবং ঘূর্ণিঝড় টোল-ফ্রি নম্বর ১০৭০ জানিয়ে দেন তিনি।

আমফানকে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা বলে জানান। আরও বলেন, আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে এই ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ে কী হবে, তা কেউ জানে না। এই সময়ে কাউকে সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করেন। "দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মেদিনীপুরের একাংশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্ক ফোর্স। পুলিশ-প্রশাসনের নিচুতলাতেও বার্তা পৌঁছেছে," বলেও জানান। সাইক্লোন সেন্টারে যতটা সম্ভব সতর্কতা নিতে বলেন। দঃ ২৪ পরগনায় ২ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ৪০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পঃ মেদিনীপুরে ১০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়ে দেন। আরও পড়ুন, ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান, প্রবল বৃষ্টি শুরু নামখানা, কাকদ্বীপে; কলকাতায় মেঘলা আকাশ

আমপানের প্রভাবে কলকাতায় আগামীকাল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। ফলে ঝুঁকি থাকছে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে। সেই কারণেই আজ কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। তেলঙ্গাবাগানে বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়। তিনি আরও বলেন,'‘সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিয়ে পদক্ষেপ। ত্রাণশিবির থেকে কেউ বাইরে বেরোবেন না। বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলে শিবিরে আসুন। সবার কাছে আমরা সহযোগিতা চাইছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় পাঠানো হচ্ছে।’'

জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। অবিলম্বে উপকূল এলাকা খালি করতে বলল কেন্দ্র। তৈরি সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী। উদ্ধারে প্রস্তুত সেনা কপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তৎ‍পরতা। টেলিকম-বিদ্যুৎ‍ মন্ত্রকের অফিসারদের তৈরি থাকার নির্দেশ।