CM Mamata Banerjee: কারোর হাতে জাতীয় পতাকা, তারা হচ্ছে...আরজি করে বহিরাগতদের তাণ্ডব নিয়ে বিজেপি, সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

অনেক পুলিশকর্মী মার খেয়েছে, কিন্তু তাঁরা কেউ ধৈর্য হারাননি। এত বিশৃঙ্খলা দেখেও তাঁরা কারোর ওপর আঘাত করেননি। এটা ভালো, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পতাকা দেখে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) ভাঙচুড় ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজভবনের সামনে তিনি বলেন, "যাঁরা এই হামলা চালিয়েছে তাঁরা আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাঁরা বহিরাগত। আমি ওই ঘটনার যতটুকু ভিডিয়ো দেখেছি, সেখানে কারোর হাতে জাতীয় পতাকা ছিল, ওঁরা হচ্ছে বিজেপি। কারোর হাতে ডিওয়াইএফআইয়ের সাদা লালা পতাকা। আমার কাছে তিনটি ভিডিও এসেছে, আমি সেগুলো দেখেছি। কাল পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ডিসিকে মারধর করা হয়েছে, ওসিকে একঘন্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর মাথা ফেঁটে রক্ত পড়ছিল, পুলিশকে নির্দেশ দিই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য। এছাড়া অনেক পুলিশকর্মী মার খেয়েছে, কিন্তু তাঁরা কেউ ধৈর্য হারাননি। এত বিশৃঙ্খলা দেখেও তাঁরা কারোর ওপর আঘাত করেননি। এটা ভালো। আমিও আন্দোলন করেছি, কিন্তু কখনও হাসপাতাল ভাঙচুড় করিনি, দমকলের অফিসে গিয়ে ভাঙচুড় চালাইনি"।

অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালে অচলাবস্থা নিয়েও মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, "অনেক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে ফিরিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের লোকগুলি। তাঁদের ক্ষমতা নেই, তাই তাঁরা বিনামূল্যে ভালো চিকিৎসার জন্য কলকাতার এই হাসপাতালে আসেন। আজকে শুনলাম বাচ্চা থেকে অনেক মহিলা বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু কিছু জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র অধ্যাপকরা এমার্জেন্সিতে চিকিৎসা ও ওপিডি করছেন"।

মমতা আরও বলেন, "এখন তো আমাদের হাতে কেস নেই। সিবিআই তদন্ত করছে, ফলে কিছু অভিযোগ থাকলে তা সিবিআই অফিসারদের বলুন। আমাদের সাহায্য করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। কিন্তু গতকালের হামলায় দুটি ফ্লোর ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেডিসিন লোপাট করা হয়েছে। চিকিৎসার সরঞ্জাম, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন করে হবে কিনা জানি না, কারণ এগুলি তৈরি করতে সময় লাগে। এই হাসপাতালগুলিতে প্রচুর ওষুধ, স্যালাইন, অক্সিজেন মজুত করা থাকে"।