IPL Auction 2025 Live

Kolkata: 'করোনা রোগী ভরতির সময় অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না', বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার

করোনা রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভরতির পর নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কখনও আবার অগ্রিম ভরতির টাকা জোগাড় করতে না পাড়ার জন্য বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে করোনা রোগীকে নিয়ে। তা রুখতে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রোগী ভরতির সময় অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা একাধিকবার করতে হলেই দিতে হবে লিখিত ব্যাখ্যা। চিকিৎসার সম্ভাব্য খরচের ২০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা নেওয়া যাবে না। রোগী হাসপাতালে ভরতির সময় অগ্রিমের টাকা না থাকলে ১২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

Representative Image (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১০ অগস্ট: করোনা রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে (Private Hospitals) ভরতির পর নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কখনও আবার অগ্রিম ভরতির টাকা জোগাড় করতে না পাড়ার জন্য বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে করোনা রোগীকে নিয়ে। তা রুখতে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য কমিশন (West Bengal Health Commission) নতুন নির্দেশিকা জারি করে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রোগী ভরতির সময় অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা একাধিকবার করতে হলেই দিতে হবে লিখিত ব্যাখ্যা। চিকিৎসার সম্ভাব্য খরচের ২০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা নেওয়া যাবে না। রোগী হাসপাতালে ভরতির সময় অগ্রিমের টাকা না থাকলে ১২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে।

করোনার রোগী হলে তৎক্ষণাৎ ভরতি করে তার চিকিৎসা করতে হবে। তবে ১২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা জমা না পড়লে ভরতি পক্রিয়া বাতিল করা যাবে। সেক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে বলতে পারার অধিকার দেওয়া হয়েছে। টেস্টার খরচ ২ হাজার টাকার বেশি হলে আগাম জানাতে হবে। কোনও পরীক্ষা একাধিকবার করতে হলে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। এসএমএস, ই-মেল ও হোয়াটসঅ্যাপে রোগীর বিলের তথ্য পাঠাতে হবে প্রতিদিন। চিকিৎসার খরচ বাড়লে উপযুক্ত কারণ জানাতে হবে। আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি

“মুখ্যমন্ত্রী (যিনি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বেও আছেন) অসংখ্য অভিযোগ নোট করেছেন। এর মধ্যে একটি ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও দেড় দিনের ব্যবধানে একটি পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছিল,”একজন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্মকর্তা এই বিষয়টি জানান। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মমতা ব্যানার্জির সরকার ভবিষ্যতে আইসিইউ, ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) এবং ভেন্টিলেশনের চিকিত্সার হারও নির্ধারণ করতে পারে।