West Bengal BJP: গণপিটুনিতে মৃত বুথ সভাপতি, কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি
বুধবার কোচবিহারে পার্টির কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল। এদিকে এই খুনের ঘটনায় কোনওরকম জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল। বুধবার সকালে কোচবিহারে বিজেপির ওই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মৃতের পরিবার ছাড়াও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, শাসকদলের লোকজনের হামলাতেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে দিনভরই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বিকেলে ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ সামনে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কোচবিহার, ১৯ নভেম্বর: বুধবার কোচবিহারে পার্টির কর্মীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল। এদিকে এই খুনের ঘটনায় কোনওরকম জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল। বুধবার সকালে কোচবিহারে বিজেপির ওই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মৃতের পরিবার ছাড়াও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, শাসকদলের লোকজনের হামলাতেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে দিনভরই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বিকেলে ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ সামনে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ অঞ্চলে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন, “তৃণমূলের হাতে আমাদের দলের একের পর এক কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। আর পুলিশ কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না। সুতরাং এই ধরনের খুনের প্রতিবাদেই আজ আমাদের বনধ।” কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থানার শিকারপুর গ্রামে গতকাল বুধবার বছর ৫৫-র এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের হাত দেখছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরেই এক টুইট বার্তায় রাজ্য বিজেপি ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গে অনবরত তৃণমূলের খুনের রাজনীতি চলছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কোচবিহারের বিজেপির বুথ সভাপতি কালচাঁদ কর্মকারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মেরেছে। এরকম রক্ত ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে রাজ্যের মানুষ আপনাকে সমর্থন করবে এমনটা ভাববেন না পিসি। আপনার দিন গোনা শুরু করুন।” আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: দিল্লির ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ালো ৮৯.৫৮ লাখ
যদিও এই খুনের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগসাজসের বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিশ অস্বীকার করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, মূলত চলতি বছরে কালীপুজোর আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুটি ক্লাবের মধ্যেকার গন্ডগোল। টাকাকড়িকে কেন্দ্র করে কালাচাঁদের দোকানের বাইরে ক্লাবের ছেলেরা জড়ো হয়ে গোলমাল পাকায়। কালাচাঁদ কর্মকারও সেই গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত জনতা কালাচাঁদের উপরে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। বুড়ো বয়সে এই গণপিটুনি সহ্য করা বিজেপির বুথ সভাপতির পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই মারধরে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)