তীব্র দাবদাহের মধ্যেই বৃষ্টি এল কলকাতায়, খরতাপে পুড়ল বাকি দক্ষিণবঙ্গ

অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে কাঁপিয়ে বৃষ্টি এল শহর কলকাতায়। তবে কতক্ষণ এই বর্ষার স্থায়িত্ব তানিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা কলকাতায় বৃষ্টি নামলেও খটখটে শুকনো লাগোয়া জেলাগুলির বেশিরভাগ অংশ। এদিন ঘড়ি বেলা একটার কাঁটা ছুঁতে না ছুঁতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে শহরজুড়ে। বাগুইআটি থেকে বেহালা সবেতেই ঝরে পড়ে বর্ষারানির শান্তির জল।

প্রতীকী ছবি ( Photo Credit: ANI)

কলকাতা, ১৬ জুলাই: অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে কাঁপিয়ে বৃষ্টি এল শহর কলকাতায়। তবে কতক্ষণ এই বর্ষার স্থায়িত্ব তানিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা কলকাতায় বৃষ্টি নামলেও খটখটে শুকনো লাগোয়া জেলাগুলির বেশিরভাগ অংশ। এদিন ঘড়ি বেলা একটার কাঁটা ছুঁতে না ছুঁতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে শহরজুড়ে। বাগুইআটি থেকে বেহালা সবেতেই ঝরে পড়ে বর্ষারানির শান্তির জল। তবে স্বস্তির বৃষ্টি খানিক অস্বস্তি কাটালেও গরমের রাহুগ্রাস থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গকে মুক্তি দিতে পারেনি। সান্ত্বনা পুরস্কার দিয়েই বিদায় নিয়েছে। আরও পড়ুন-রাতবিরেতে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি, হাতেনাতে পাকড়াও ভূত

এদিকে সোমবারই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গত এক দশকে বর্ষার সময় এত গরম পড়েনি বাংলায়। শেষ বার এমন হয়েছিল ২০০৫ সালের ৫ জুলাই। সেদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তবে এব্যাপারে যদি অতীত পরিসংখ্যান খোঁজা হয়, দেখা যাবে ১৯৭১ সালের ১০ জুলাই এখনও পর্যন্ত সব থেকে গরম পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। সে দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। মঙ্গলবার সকাল থেকে অবশ্য খর রোদের তীব্রতা এতটুকু কম ছিল না। আবহাওয়া দফতরের তরফেও তেমন কোনও পূর্বাভাস ছিল না। আজও মনে হয়েছিল, বর্ষা বোধ হয় আপাতত ব্রাত্যই রইল দক্ষিণবঙ্গে। গরম বাড়ছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। দিনভর অস্বস্তিকর আবহাওয়ার জন্যই প্রস্তুত ছিল শহরবাসী। মঙ্গলবার বেলা ১২টাতেই শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৯ শতাংশ।

তাই প্রথমটায় আকাশ কালো করে এলেও বৃষ্টির প্রতি তেমন আস্থা রাখতে পারেনি জনগণ। মেঘ তো হয় তবে তার থেকে বৃষ্টির ফোটা কত পড়ে। মঙ্গলবারের বৃষ্টিও তেমনই হবে, এমনটাই আগে থেকে জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। যত সমারোহে সে শহরে নামল, তত সমারোহে বর্ষাবে না দিনভর। বরং খানিক মাটি ভিজিয়ে অস্বস্তি আরও বাড়াতে পারে বলেই অনুমান। এতক্ষণে অনুমান মিলে গিয়েছে ঘোর বর্ষাকালে ভাদ্রের অস্বস্তিতে মুহূর্ত গুনছে দক্ষিণবঙ্গ। আর একই সময়ে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গ।

 

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now