SFI: 'অমিত শাহর উপস্থিতিতে অপবিত্র হয়েছে শহীদ মিনার', সাবান জল দিয়ে বেদি ধুয়ে শুদ্ধিকরণ করল এসএফআই
অমিত শাহর উপস্থিতিতে অপবিত্র হয়েছে শহিদ মিনার (Shahid Minar)। এমনই দাবি তুলে এসএফআই (SFI)-র সদস্যরা আজ শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি নিয়ে শহিদ মিনারে উপস্থিত হন। সাবান জল দিয়ে ধুয়ে দেন বেদি। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানানো হয়। এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, অমিত শাহর হাত-পা রক্তে রাঙানো। তাই তার অপবিত্রতা ঘোচাতেই এই পদক্ষেপ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে শহিদদের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে ১৯৬৯ সালের ৯ অগাস্ট অক্টরলুনি মনুমেন্ট নাম বদলে হয় শহিদ মিনার। SFI ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বক্তব্য, এমন স্থানে কোনও ভাবেই অমিত শাহর উপস্থিতি মানা যায় না। এসএফআই রাজ্যসম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharyya) এদিন গঙ্গাজল দিয়ে বেদির শুদ্ধিকরণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সাবান জল দিয়েই শহীদ বেদি ধুইয়ে দেওয়া হয় বলে জানান।
কলকাতা, ২ মার্চ: অমিত শাহর (Amit Shah) উপস্থিতিতে অপবিত্র হয়েছে শহীদ মিনার (Shahid Minar)। এমনই দাবি তুলে এসএফআই (SFI)-র সদস্যরা আজ শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি নিয়ে শহীদ মিনারে উপস্থিত হন। সাবান জল দিয়ে ধুয়ে দেন বেদি। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানানো হয়। এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, অমিত শাহর হাত-পা রক্তে রাঙানো। তাই তার অপবিত্রতা ঘোচাতেই এই পদক্ষেপ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদদের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে ১৯৬৯ সালের ৯ অগাস্ট অক্টরলুনি মনুমেন্ট নাম বদলে হয় শহীদ মিনার। SFI ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বক্তব্য, এমন পবিত্র স্থানে কোনওভাবেই অমিত শাহর উপস্থিতি মানা যায় না। এসএফআই রাজ্যসম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharyya) এদিন গঙ্গাজল দিয়ে বেদির শুদ্ধিকরণের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সাবান জল দিয়েই শহীদ বেদি ধুইয়ে দেওয়া হয় বলে জানান।
গতকাল রাজ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে (Shaheed Minar) সভা করেন তিনি। শহীদ মিনারে বিজেপির ‘অভিনন্দন’ সভায় ভাষণ দেন। তারসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সকল বিজেপি নেতারা। অমিত শাহের সফর শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বাম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। 'গো ব্যাক অমিত শাহ' স্লোগানে বের হয় একাধিক মিছিল। যাদবপুরের সন্তোষপুরে সুজন চক্রবর্তীর(Sujan Chakraborty) নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করেন বামেরা। এ দিন সকালে সন্তোষপুর থেকে শুরু করে যাদবপুর পর্যন্ত চলে এই মিছিল। দেখানো হয় কালো পতাকাও। এয়ারপোর্টের ১ নম্বর গেটের কাছেও চলে বিক্ষোভ। দেখানো হয় কালো পতাকা। কৈখালি থেকে শ্যামবাজারেও বিক্ষোভ চলে। আরও পড়ুন, CAA বিরোধী সভায় যাওয়ার জের, যাদবপুরের ছাত্রকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এখানে স্বাগত নন।" পালটা বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "বামেদের সঙ্গে নেই মানুষ। আমরা এই বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।" গতকাল ধর্মতলায় বাম-বিজেপির মিছিল সামনাসামনি হয়ে যায়। খানিকটা বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হলে পুলিশ এসে তা সামাল দেয়। বিজেপির মিছিলে অনুরাগ ঠাকুরের 'গোলি মারো...'-র স্লোগান ওঠায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারও করে।