Sitalkuchi Shocker: কোচবিহারের শীতলকুচিতে স্বামী ও কন্যা-সহ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে কুপিয়ে খুন, ধৃত ৩

শুক্রবার ভোররাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন পঞ্চায়েত সদস্যাকে তাঁর স্বামী ও মেয়ে সমেত কুপিয়ে খুনের অভিযোগের গ্রেফতার করা হল তিনজনকে।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Image)

শীতলকুচি: শুক্রবার ভোররাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন পঞ্চায়েত সদস্যাকে (TMC panchayat-level leader) তাঁর স্বামী (husband) ও মেয়ে (daughter) সমেত কুপিয়ে খুনের (hacked to death) অভিযোগের গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার (Cooch Behar district) শীতলকুচি (Sitalkuchi) এলাকার হাসপাতাল পাড়ায় (Hospital Para)। ওই পঞ্চায়তে সদস্যার আরেক মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন (under treatment in the hospital) বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মনের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌড়ে যান প্রতিবেশীরা। সেই সময় তাঁরা এক যুবককে ছুরি হাতে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালাতে দেখে। পাড়ার লোকেরা তাকে কোনওক্রমে ধরে রাখতে সমর্থ হয়। আর কিছু মানুষ বাড়ির ভিতরে গিয়ে নীলিমা বর্মন, তাঁর স্বামী বিমল বর্মন এবং দুই মেয়ে রুনা বর্মন ও ইতি বর্মনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নীলিমা বর্মন, তাঁর স্বামী সক্রিয় তৃণমূল সদস্য বিমল বর্মন ও তাঁদের এক মেয়ে রুনা বর্মনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য ইতি বর্মন।

এপ্রসঙ্গে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, "কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মনের বাড়িতে শুক্রবার ভোররাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাদের আক্রমণ নীলিমা দেবী ও তাঁর স্বামী তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য বিমল বর্মন ও তাঁদের এক মেয়ে রুনা বর্মনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দম্পতির আরেক মেয়ে ইতি বর্মন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রথমে গ্রামবাসীরা এক ব্যক্তি হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। তাকে জেরা করে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"