TikTok Sues US Government: জোর করে টিকটক বিক্রি ও নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা মার্কিন মুলুকে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্স

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিয়ে একটি সাম্প্রতিক নতুন আইনের অধীনে বলা হয়েছে বাইটড্যান্স সংস্থাটি হয় তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি বিক্রি করতে বাধ্য হবে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ রূপে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে।এই আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক এর মূল সংস্থা বাইটড্যান্স মঙ্গলবার মার্কিন ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।

TikTok Logo (Photo Credit: Twitter/X)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিয়ে একটি সাম্প্রতিক নতুন আইনের অধীনে বলা হয়েছে বাইটড্যান্স সংস্থাটি হয় তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপটি বিক্রি করতে বাধ্য হবে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ রূপে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে।এই আইনকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক এর মূল সংস্থা বাইটড্যান্স মঙ্গলবার মার্কিন ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। গত মাসে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আইনটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। মামলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক (TikTok) এর ভবিষ্যত নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ছোট ভিডিওর জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক(TikTok)এর মূল সংস্থা বাইটড্যান্স বলেছে যে মার্কিন সরকার কর্তৃক পাস করা আইনটি অসাংবিধানিক। আইনে বলা হয়েছে যে TikTok-এর মূল সংস্থা বাইটড্যান্স (ByteDance)-কে নয় মাসের মধ্যে তার প্ল্যাটফর্ম বিক্রি করতে হবে।তবে বাইটড্যান্স জানিয়েছে এই মুহুর্তে টিকটক বিক্রি করার কোনও পরিকল্পনা নেই, তবে এটি করতে হলে চীনা সরকারের কাছ থেকে তাঁদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। চীন এর আগে জোরপূর্বক প্ল্যাটফর্ম বিক্রির বিরোধিতা করেছে।

গত ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়। এরপরেই সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে বাইটড্যান্স কোম্পানির মার্কিন শাখার কর্মকর্তা এবং টিকটকের পাবলিক পলিসি বিভাগের প্রধান মাইকেল বেকারম্যান এই ইস্যুতে কোম্পানির অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ আমাদের জন্য খুবই অনাকাঙিক্ষত যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকানপন্থি স্পিকার এবং জো বাইডেন, যিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা— উভয়েই টিকটক নিষিদ্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।যাই হোক, তাদের কাজ তারা করবেন। তবে সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র এই আইন চালু করে, তাহলে প্রেসিডেন্ট যেদিন (আইনটিতে) স্বাক্ষর করবেন, সেদিনই আমরা আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কার্যক্রম শুরু করব।’ তিনি আরও বলেছিলেন -  ‘যদি আইনটি পাস হয়, তার ফলাফল হবে ভয়াবহ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন, তাদের অনেকের আয়ের উৎস এই অ্যাপটি। অন্তত ৭০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছেন, যারা ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং এই অ্যাপটির মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালান। তাই (আইনটি কার্যকর হলে) আদালতে আমাদের লড়াই করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে মার্কিনীদের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।