এবার আর হাতে হাতে নয় অ্যাপেই ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির কাগজ দেখান, জানেন কীভাবে?
গাড়ি চালকদের সমস্যা কমাতে দেশজুড়ে ট্রাফিক আইন (motor vehicles law) ঢেলে সাজানো হয়েছে। যাতে চটজলদি কোনও গাড়ি চালককে যেন জেল জরিমানার (hefty penalties) আওতায় ফেলা না যায় তাই এই বন্দোবস্ত। আইন পরিবর্তনের পর গাড়ি চালকদের উপরে আরও সদয় কেন্দ্রী পরিবহন মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সব সময় গাড়ির কাগজ চালকের সঙ্গে না থাকলেও চলবে। ডিজি-লকার (DigiLocker) বা এম পরিবহন অ্যাপ থেকেও চালক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির যাবতীয় তথ্যাদি দেখাতে পারবেন।
দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: গাড়ি চালকদের সমস্যা কমাতে দেশজুড়ে ট্রাফিক আইন (motor vehicles law) ঢেলে সাজানো হয়েছে। যাতে চটজলদি কোনও গাড়ি চালককে যেন জেল জরিমানার (hefty penalties) আওতায় ফেলা না যায় তাই এই বন্দোবস্ত। আইন পরিবর্তনের পর গাড়ি চালকদের উপরে আরও সদয় কেন্দ্রী পরিবহন মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সব সময় গাড়ির কাগজ চালকের সঙ্গে না থাকলেও চলবে। ডিজি-লকার (DigiLocker) বা এম পরিবহন অ্যাপ থেকেও চালক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির যাবতীয় তথ্যাদি দেখাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এই ডিজি-লকার বা এমপরিবহণ কোনও নতুন ব্যবস্থা নয়। ১৯৮৯ সালের মোটর ভেহিক্যাল আইনের সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, এবার থেকে ভারতীয় নাগরিকরা পরিবহণ সংক্রান্ত নথি বৈদ্যুতিন ভাবেও ব্যবহার করতে পারবেন। দূষণ সংক্রান্ত শংসাপত্র, পারমিট, রেজিস্ট্রেশন, বিমা ইত্যাদি সব নথির ডিজিটাল কপিকেই যাতে মান্যতা দেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্যপুলিশের কাছেও নির্দেশিকা মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা গিয়েছে। প্রতি বছর দেশে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। পথ দুর্ঘটনা আর বেপরোয়া ড্রাইভিং আটকাতেই আরও কড়া আইন প্রণয়ন করেছে কেন্দ্র।এই আবহে দু’টি অ্যাপের মাধ্যমে নথি দেখানোর এই ব্যবস্থা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সারা দেশের গাড়ির চালকরা। আরও পড়ুন-মাসিক অ্যাপ ব্যবহার করে ফাঁস হয়ে যেতে পারে আপনার গোপনীয় তথ্য
তবে ট্রাফিক পুলিশ কাগজ দেখতে চাইলে অনেকেই মোবাইলে গাড়ির কাগজের ছবি দেখাচ্ছেন। ডিজিটাল নথি মানে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি বা স্ক্যান করা কপি নয়। গাড়ির বৈধ কাগজপত্রগুলি এমপরিবহণ বা ডিজিলকারে আপলোড করতে হবে। তবেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই কাগজকে মান্যতা দেবেন। অন্য দিকে এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার ১০ মাসের মাথায় দেশে এসেছে নতুন মোটর ভেহিক্যাল আইন। সংশোধনীর ফলে আরও কড়া করা হয়েছে এই আইন। আইন বিরুদ্ধ কাজ করলেই জরিমানা দিতে হবে আগের থেকে আরও বেশি। হতে পারে জেলও। বৈধ কাগজ দেখিয়েও তখন ছাড় মিলবে না।