১৮ জুলাই থেকে বন্ধ শপিং সাইট অ্যামাজন, কেন জানেন?

আগামী ১৮ জুলাইতেই চিনে(China) আমাজনের ই-কমার্স পরিষেবার শেষ দিন। এরপর যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে চিনের সাধারণ বাসিন্দারা কোনও রকম শপিং করতে চান তাহলে জাপান, আমেরিকা(US), ব্রিটেন(United Kingdom) ও জার্মানির(Germany) আমাজন সাইট ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Wikimedia Commons)

স্মার্টফোনের দৌলতে এখন ই-কমার্সের জনপ্রিয় সাইটগুলি আমাদের সকলেরই জানা। এদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ফ্লিপকার্ট(Flipkart) অ্যামাজনের(Amazon.com) মতো সংস্থা। আচ্ছা একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি খবর দেখেন স্মার্টফোনের ফিচার লিস্টে রাখা অ্যামাজনের অ্যাপটি কাজ করছে না, তাহলে তো মনটা খারাপ হবে। হয়েছেও তাই, তবে চীনে। আগামী ১৮ জুলাইতেই চিনে(China) আমাজনের ই-কমার্স পরিষেবার শেষ দিন। এরপর যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে চিনের সাধারণ বাসিন্দারা কোনও রকম শপিং করতে চান তাহলে জাপান, আমেরিকা(US), ব্রিটেন(United Kingdom) ও জার্মানির(Germany) আমাজন সাইট ব্যবহার করতে পারেন।

জানা গিয়েছে, চিনে ই-কমার্সের লোকাল শপিং সাইটগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে বেশ বিপাকেই পড়ে গিয়েছে অ্যামাজন। দিনের পর দিন ধরে সংস্থাটি ক্ষতির মুখে পড়ছে। এর জেরে লাভ তো দূরঅস্ত কর্মীরাও ঝিমিয়ে পড়েছে। অনেকেই আবার বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির চেষ্টা করচে তাই বাধ্য হয়েই ওই ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামাজন। ২০১৮-র জুলাইয়ে প্রকাশিত এজেন্সি ডেটা অনুযায়ী, চিনে ই-কমার্স সাইটের মোট ব্যবসার মধ্যে শুধু আলিবাবারই আধিপত্য ৫৮.২ শতাংশ। তারপরই রয়েছে JD.com। ১৬.৩ শতাংশ ব্যবসা তাদের। Pinduoduo-এর ব্যবসা ৫.২ শতাংশ। আমাজনের ব্যবসা সেখানে রীতিমতো ধুঁকছিল। তাই বাধ্য হয়েই সংস্থাটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে অ্যামাজনের ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসের সম্পর্ক ১৫ বছরের। এবার সেই ব্যবসা বন্ধ হলেও সংস্থাটি চিনে নিজেদের অন্যান্য ব্যবসা চালিয়ে যাবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমাজন ওয়েব সার্ভিস, কিন্ডল ই-বুক এবং ক্রস-বর্ডার অপারেশনের মতো ব্যবসাগুলি আগের মতোই বহাল থাকবে।