পিভি সিন্ধু-র হ্যাটট্রিক- টানা তিনবার বিশ্ব মিটের ফাইনালে, দেশের প্রথম সোনা জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি
টানা তিনবার বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন ভারতের তারকা শাটলার পিভি সিন্ধু। শনিবার বাসেলে চিনের চেন ইউ ফাইকে ২১-৭, ২১-১৪ হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন সিন্ধু। চিনের প্রাচীর সহজেই ভাঙলেন সিন্ধু।
বাসেল, ২৪ অগাস্ট: টানা তিনবার বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ (BWF World Championships 2019) ফাইনালে উঠলেন ভারতের তারকা শাটলার পিভি সিন্ধু (PV Sindhu) । শনিবার বাসেলে চিনের চেন উ ফু-কে ২১-৭, ২১-১৪ হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন সিন্ধু। এদিন চিনের প্রাচীর ভাঙতে সিন্ধুকে তেমন বিশেষ পরিশ্রম করতে হয়নি। আগামিকাল,রবিবার বিশ্ব মিটের ফাইনালে সিন্ধুর প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাচনোক ইতানন বনাম নোজামি ওকুহার ম্যাচের জয়ী খেলোয়াড়। ফাইনালটাই সিন্ধুর কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় গাঁট হয়ে দেখা দেয়। দেখা যাক, এবার রজার ফেডেরারের দেশে সেই গাঁট ছাড়ে কিনা।
গতবার চিনের নানজিংয়ে আয়োজিত বিশ্বমিটের ফাইনালে ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হেরে রুপো জিতেছিলেন সিন্ধু। তার আগের বছর মানে ২০১৭ বিশ্ব মিটে স্কটল্যান্ডে আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে নাজোমি ওকুহারের কাছে হেরে ছিলেন সিন্ধু। আরও পড়ুন-রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিচ্ছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব
সেবারই প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন মিটের ফাইনালে উঠেছিলেন হায়দ্রাবাদের মহাতারকা এই শাটলার। কিন্তু গত দুবারই রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এবার বিশ্বমিটের ইতিহাসে দেশের প্রথম সোনার পদক জিতে ইতিহাস গড়ার ফের হাতছানি সিন্ধুর সামনে। গতকাল, কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপের তাই জুকে ১২-২১, ২৩-২১, ২১-১৯ হারান সিন্ধু। শেষ আটের ম্য়াচে প্রথম গেমে হেরে বিপদে পড়ে গেলেও, ফিরে এসে দারুণভাবে জিতেছিলেন। সেমিফাইনালে অবশ্য গতি, অভিজ্ঞতা দিয়েই চিনের চেন উ ফু-কে উড়িয়ে দেন সিন্ধু।
এদিকে, সিন্ধুর মত ইতিহাসের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে ভারতের তারকা শাটলার বি সাই প্রণীত। প্রথম ভারতীয় পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব মিটের ফাইনালে ওঠার দোরগড়ায় প্রণীত। একটু পরেই কেন্তো মোমোতার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামছেন প্রণীত। শেষ চারে ওঠার পদক নিশ্চিত হয়েছে প্রণীতের। ৩৬ বছর পর বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের সিঙ্গলস থেকে পদক জিতে ফিরছেন কোনও ভারতীয়। গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে প্রণীত জিতেছিলেন ২৪-২২, ২১-১৪ ইন্দোনেশিয়ার জোনাথন ক্রিস্টির বিরুদ্ধে।