Dheeraj Singh on Manipur: মণিপুরের শান্তির দিকে নজর দিতে আর্জি ভারতীয় গোলরক্ষক ধীরজ সিংয়ের

ধীরজ জানাচ্ছেন, সানা ও তাঁর পরিবারকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন আরেক সতীর্থ ফুটবলার সালাম রঞ্জন সিংহ। ধীরজ বলছেন, ওঁর পরিবার এখনও সেখানে আছে। সেইসময় সানা ধীরজের সঙ্গে এশিয়াডে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন

Dheeraj Singh on Manipur Violence (Photo Credit: 90ndstoppage/ X)

মাত্র ২৩ বছর বয়সী ধীরজ সিং মৈরাংথেম (Dheeraj Singh Moirangthem) দিন চারেক আগে বেশ অন্যরকম একটা ছবি নিয়ে একটি বার্তা দেন, যেখানে লেখা ছিল, 'মণিপুর বাঁচাও'। পাঁচ মাস এগারো দিন ধরে মণিপুর থেকে ধীরাজ-সহ ভারতীয় ফুটবল ব্যবস্থায় আরও অনেক বড় নাম হিংসার কথা বলেছেন। সরকারি পরিসংখ্যানে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৫০০০ বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে নিউজ পোর্টাল 'The Wire' জানিয়েছে, ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন এবং বর্তমানে শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। এটা একটা বড় মানবিক সংকট, আর এর কোনো শেষ নেই এবং এটাই ধীরজের বার্তার মূল কথা, জাতীয় কাগজের প্রথম পাতা থেকে এবং টিভি চ্যানেলে কথোপকথনের বাইরে বিষয়টি সরে গিয়েছে। ESPN কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "এটা স্বাভাবিক নয়। ঘরে ফিরে যে সব ঘটনা ঘটছে, তা আমি কল্পনাও করতে পারি না। আমাদের মনোযোগ ধরে রাখা, আমি এখানে যা করছি তাতে মনোযোগ দেওয়া অনেক কঠিন।" India vs Malaysia Goal Controversy: মের্দেকা কাপের ভারতের গোল হওয়া সত্ত্বেও বাতিল করল রেফারি (দেখুন বিতর্কিত ভিডিও)

তিনি বলেন, 'এটা [সত্যি] সমস্ত মানুষের জন্য - ছাত্র, কর্মচারী - যারা তাদের পরিবার থেকে দূরে রয়েছে..। এটা স্বাভাবিক অনুভূতি নয়। পরমুহূর্তে কী হতে চলেছে, তা আপনি কখনই জানেন না। আর পাঁচ মাস হয়ে গেল এটা বেশ কঠিন যখন আপনি দেখেন [কী হচ্ছে]। সানার [চিংলেনসানা সিং, হায়দরাবাদ এফসি এবং ভারতের সেন্টার ব্যাক] অবস্থা দেখুন - তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাকে জাতীয় দলের জন্য ডাকা হয়েছিল এবং সে বাদ পড়েছিল কারণ সে সঠিক মানসিক জায়গায় ছিল না... আমরা যা কিছু করি না কেন, প্রথমে আমাদের মানসিক শান্তি প্রয়োজন।'

মনিপুর হিংসার কেন্দ্রস্থল চূড়াচন্দ্রপুরের বাসিন্দা (Churchandpur) চিংলেনসানা। তার বাড়ির পাশাপাশি, তার গ্রামের যুবকদের জন্য তৈরি করা ফুটবল টার্ফটিও ধ্বংস হয়ে যায়। ধীরজ জানাচ্ছেন, সানা ও তাঁর পরিবারকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন আরেক সতীর্থ ফুটবলার সালাম রঞ্জন সিংহ। ধীরজ বলছেন, ওঁর পরিবার এখনও সেখানে আছে। সেইসময় সানা ধীরজের সঙ্গে এশিয়াডে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তিনি বলেন, আমরা গত চার-পাঁচ মাস ধরে সাহায্য চাইছি, এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সত্যিই সাহায্য দরকার।'

ধীরাজ আসেন মইরাং (Moirang) থেকে, যেটি চূড়াচন্দ্রপুেরের সীমানায় অবস্থিত। তার বাবা-মা প্রতিদিন, প্রতিদিন রাতে বাড়ির পাহারায়, গ্রামের পাহারায় বের হয়। তিনি বলেন, এটা পুরো মণিপুর জুড়ে হচ্ছে, দুই সম্প্রদায়ের জন্য। ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফিফা বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে গোলকিপার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন ধীরজ। এরপর প্রথম ভারতীয় হিসেবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দলে জায়গা পেলেন তিনি, সাম্প্রতিক এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে গোলও করেন।