Najmul Hossain Shanto: বাংলাদেশের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত
সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে পরে তিনি মত পরিবর্তন করেন এবং ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি এর পেছনের কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেননি, তবে শান্ত যদি শেষ পর্যন্ত সরে যান তবে বাংলাদেশ কর্মকর্তারা নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করতে প্রস্তুত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন সব ফরম্যাটের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে এক বছরের জন্য তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে টুর্নামেন্টের চার মাস আগে, ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিভিন্ন স্থানীয় রিপোর্টে জানা গিয়েছে। বিসিবি অবশ্য এখনও তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন, তিনি দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেবেন তবে একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন নিজেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং বলেছেন যে তিনি বর্তমানে সভাপতির আগমন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। BAN Squad, BAN vs SA 2nd Test: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে তাসকিন, দলে খালেদ আহমেদ
নয়টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে ছয়টিতে হেরেছেন শান্ত। তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দেন যা অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় হাইলাইট হিসাবে রয়ে গেছে। ওয়ানডেতে শান্ত আবারও নয় ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, হেরেছেন ছয়টিতে। সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটের কথা যখন আসে, তখন তিনি ২৪টি খেলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং কেবল ১০টি জিতেছেন। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে পরে তিনি মত পরিবর্তন করেন এবং ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট থেকেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি এর পেছনের কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেননি, তবে শান্ত যদি শেষ পর্যন্ত সরে যান তবে বাংলাদেশ কর্মকর্তারা নতুন অধিনায়ক নিয়োগ করতে প্রস্তুত। টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ভাল করেছেন তবে প্রোটিয়ারা সাত উইকেটে জিতেছিল বলে দলকে ঘরের মাঠে জয় তুলে দিতে ব্যর্থ হন।