AUS vs SCO, ICC T20 World Cup 2024: স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটের রাস্তা করে দিল অস্ট্রেলিয়া
স্কটল্যান্ড- ১৮০/৫, অস্ট্রেলিয়া- ১৮৬/৫ (১৯.৪ ওভার); ম্যাচ সেরা- মার্কাস স্টোইনিস
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় স্কটল্যান্ডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ইংল্যান্ড নিশ্চয়ই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কিন্তু ফিল্ডিংয়ে উদাসীন পারফরম্যান্স কাটিয়ে উঠে জয় ছিনিয়ে আনার মতো যথেষ্ট ফায়ার পাওয়ার ছিল বিশ্বকাপজয়ী অজিদের৷ গ্রুপ পর্বে শতভাগ রেকর্ড নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া তাদের অ্যাসেজ প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সুপার এইট পর্বে নিয়ে যায়। ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের একটি জ্বলন্ত হাফ সেঞ্চুরির পরে জয়ের জন্য ১৮১ রানের লক্ষ্য স্থির করে স্কটিশরা, অস্ট্রেলিয়া তাদের রান তাড়া করার অর্ধেক পথে বেশ বিপদে পড়ে তবে মার্কাস স্টোইনিস এবং ট্র্যাভিস হেড হাফসেঞ্চুরি করে এবং মাত্র ৪৪ বলে চতুর্থ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে তাদের দলকে ফের লাইনের উপরে নিয়ে আসেন। ১৫ ওভার শেষে ১৩৮/৪ রানে স্কটল্যান্ড ২০০ বা তার কাছাকাছি যেতে পারত কিন্তু অজি বোলিংয়ে তারা ডেথ ওভারে মাত্র ৪২ রান করতে সক্ষম হয়। ENG vs NAM, ICC T20 World Cup 2024: নামিবিয়াকে হারিয়ে এখনও বাকি ইংল্যান্ডের সুপার এইটের আশা
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অ্যাশটন অ্যাগার প্রথম ওভারেই আঘাত হেনে মাইকেল জোন্সকে আউট করেন। এরপর ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন এবং জর্জ মুনসে একটি রোমাঞ্চকর কাউন্টারে নেতৃত্ব দেওয়ার সাথে সাথে স্কটল্যান্ড সেই প্রাথমিক ধাক্কাটি জোরালোভাবে কাটিয়ে ওঠে। শেষ দুটি পাওয়ারপ্লে ওভারে ২৯ রান করে এই জুটি। ম্যাকমুলেন স্কটল্যান্ডের হয়ে দ্রুত গতি বজায় রাখেন এবং ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন, যা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম। ৮৯ রানের জুটি গড়ার পর ৬০ রানে ম্যাকমুলেনের ৩৪ বলে দুর্দান্ত ইনিংস শেষ হয় জাম্পার বলে। এরপর স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক বেরিংটন ৪২ রান করে মোট ১৮০ রানে পৌঁছে যান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ব্র্যাড হুইলের শিকার হন এবং দুই ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ৩ রান করে। মাইকেল জোন্স ১৭ রানে থাকাকালীন হেডের একটি কঠিন ক্যাচ ফেললেও সাফিয়ান শরিফ পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মার্শকে আউট করেন। পাওয়ার প্লে শেষে মার্ক ওয়াট গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেন, এরপর স্টোইনিস যখন আসেন তখন শেষ সাত ওভারে অজিদের প্রয়োজন ৮৯ রান। তবে স্টোইনিস ২৪ বলে ৪৭ রান করে শেষ পাঁচ ওভার থেকে সমীকরণটি ৬০ এ নামিয়ে আনেন। এরপর ৪৫ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন হেড কিন্তু শরীফের করা ১৬তম ওভারে চতুর্থ ছক্কার চেষ্টায় ৪৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হন হেড। এরপর স্টোইনিসও ২৯ বলে ৫৯ রানে বোল্ড হন তবে দলকে জয়ের পথ করে দিয়ে যান।