Dutee Chand: সমকামিতার শাস্তি, অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ ও তাঁর মা-বাবাকে অত্যাচার নিজের দিদির
বছরখানেক আগে নিজের সমকামী সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand)। পাঁচ বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। সম্পর্কের স্বীকারোক্তির পর আক্রমণ আসতে থাকে তাঁর ওপর। কখনও গ্রামবাসীদের, কখনও আবার পরিবারের তরফে। দিদি সরস্বতী ইতিমধ্যে তাঁকে ঘরছাড়া করেছেন। এবার মা-বাবাকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
বছরখানেক আগে নিজের সমকামী সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন অ্যাথলিট দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand)। পাঁচ বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। সম্পর্কের স্বীকারোক্তির পর আক্রমণ আসতে থাকে তাঁর ওপর। কখনও গ্রামবাসীদের, কখনও আবার পরিবারের তরফে। দিদি সরস্বতী ইতিমধ্যে তাঁকে ঘরছাড়া করেছেন। এবার মা-বাবাকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের খবরানুযায়ী, গতবছর মে মাসে এশিয়াডে (Asian Games) পদকজয়ী অ্যাথলিট জানিয়েছিলেন, “আমি আমার গ্রামেরই একটি মেয়ের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে সম্পর্কে আছি। ও ভুবনেশ্বর কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছি যে আমার সোলমেট। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই এই স্বাধীনতা থাকা উচিত যে তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এটা প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত পছন্দ। এবং আমি এই সমলিঙ্গের সম্পর্কেই থাকতে চাই।”
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, “আমি নিজের সব টাকা খরচ করে রাজস্থানে বাড়ি বানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই বাড়িতে আমার আজ কোনও অধিকারই নেই। সরস্বতী আমার বাবা-মাকেও বাড়ি থেকে বের করে দেবে। আমি আমার ছোট বোনেদের জন্য চিন্তিত।” এশিয়াডে পদকজয়ী অ্যাথলিটের দাবি, প্রেম করে বিয়ে করায় তাঁর দাদাকেও বাড়িছাড়া করেছেন সরস্বতী। তাঁকে বা তাঁর দাদাকে, কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দেন না দিদি। সরস্বতীর হাত থেকে বাবা-মাকে বাঁচাতে এবার আইনের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিয়েছেন দ্যুতি।
করোনার কারণে অভাব সংসারে। স্পনসরের টাকা শেষ। তাই এবার অলিম্পিক প্রস্তুতির জন্য নিজের পছন্দের বিএমডব্লিউ গাড়িটাই বিক্রি করে দিতে চলেছেন তিনি। দ্যুতি চাঁদ জানান, "অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য স্পনসর এর কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলাম। কিন্তু অলিম্পিক তো পিছিয়ে গেল। আর সেই টাকাও খরচ হয়ে গেছে গিয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন অবস্থা খুব খারাপ। এই অবস্থায় নতুন স্পনসর পাওয়া খুব কঠিন।"